হাটের লিজ নিতে যাওয়া দুই সিপিএম কর্মীর উপর গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের কয়েক জন কর্মীর বিরুদ্ধে। সোমবার দুপুরে চোপড়া বিডিও অফিসে ঘটনাটি ঘটেছে বলে অভিযোগ। দুই সিপিএম সমর্থকের উপর প্রথমে লাঠি এবং ধারালো অস্ত্র নিয়ে শাসক দলের কর্মীরা চড়াও হয়ে একটি দেশি বন্দুকের বাট দিয়ে মারধর করে । পরে তাঁদের লক্ষ করে গুলি ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। সেই গুলি অবশ্য তাঁদের গায়ে লাগেনি বলে দাবি করা হয়েছে। জখম দুই কর্মীকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে বলে সিপিএম জানিয়েছে। তৃণমূল অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এ দিন দুপুরে, বেশ কিছু এলাকার হাটের লিজ দেওয়ার কথা ছিল। দলের সমর্থকদের উপর হামলার অভিযোগের পর লালবাজার এলাকায় গ্রামীণ সড়ক অবরোধ করে ক্ষোভ দেখায় সিপিএম। ইসলামপুরের এসডিপিও সুবিমল পাল বলেছেন, “অভিযোগ জমা পড়েছে। দুষ্কৃতীর খোঁজে তল্লাশি হচ্ছে।” বিডিও অফিস চত্বরে গোলমালের বিষয়টি স্বীকার করলেও গুলি চালানোর কথা জানেন না বলে ইসলামপুরের মহকুমা শাসক নারায়ণচন্দ্র বিশ্বাস দাবি করেন। তিনি বলেন, “দু’পক্ষের হাতাহাতি ও গোলমালের খবর পেয়েছি। তবে গুলি চলেছে বলে শুনিনি।”
ঘিন্নিগাও এলাকার কয়েকটি হাটের রক্ষণাবেক্ষণ কার হাতে থাকবে, তার নিলাম হওয়ার কথা ছিল এই দিন। বিডিও অফিস চত্বরে সে কারণে অনেকেই জড়ো হন। সিপিএম-এর অভিযোগ, ঘিন্নিগাও গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার সিপিএম এর দুই কর্মী সমর্থক সারিফুল ইসলাম ও আবু হোসেনও উপস্থিত ছিলেন। হঠাৎই তাঁদের উপর হামলা হয় বলে অভিযোগ। আহত অবস্থায় ওই দুই সিপিএম সমর্থককে ইসলামপুর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় বলে সিপিএমের দাবি। সিপিএম-এর চোপড়া জোনাল কমিটির সম্পাদক আনারুল হক বলেন, “হাটের লিজের প্রক্রিয়ায় যাতে অন্য কেউ অংশ গ্রহণ না করতে পারে সেই কারণে তৃণমূল আমাদের সমর্থকদের উপর হামলা করে। গুলিও ছুড়েছে তারা। তাদের মুখে কালো কাপড় বাধা হয়েছিল। ভয় দেখিয়ে এখন আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে তৃণমূূল।” তৃণমূূলের চোপড়া ব্লক সভাপতি সাইন আখতার পাল্টা বলেন, “ওই ঘটনায় তৃণমূলের কেউই জড়িত নয়। এ দিনের ঘটনা সিপিএমের গোষ্ঠীদন্দ্বের ফল।”