জলপাইগুড়ি জেলার দুই দলত্যাগী আরএসপি বিধায়কের নাম না করে অশালীন মন্তব্যে অভিযোগ সিপিএম নেতা তথা রায়গঞ্জ কেন্দ্রের প্রার্থী মহম্মদ সেলিমের বিরুদ্ধে। শুক্রবার ময়নাগুড়ি ফুটবল ময়দানে বামফ্রন্টের সভায় তিনি ওই মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ। মহম্মদ সেলিম দলত্যাগী বিধায়কদের নাম না করে অভিযোগ করেন, “জনপ্রতিনিধি কেনাবেচার সংস্কৃতি আমদানি করেছে তৃণমূল।” এর পরেই তিনি দলত্যাগী বিধায়কদের উদ্দেশ্যে করে কিছু মন্তব্য করেন। যা অশালীন ও কুরুচিকর বলে তৃণমূলের দাবি। যদিও দলত্যাগী আরএসপি বিধায়ক অনন্তদেব অধিকারী নালিশ উড়িয়ে দিয়ে কলকাতা থেকে ফোনে বলেন, “আমি বিক্রি হতে যাব কেন! ময়নাগুড়ির উন্নয়নের কথা মাথায় রেখে তৃণমূলে যোগ দিয়েছি। যে নেতারা আজকে বড় কথা বলছেন। একদিন তাঁরাই তো আরএসপি-র দেওয়া উন্নয়নের প্রস্তাব ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলেছেন। ময়নাগুড়িকে বঞ্চিত করেছেন। ধাক্কা সামাল দিতে না পেরে কুরুচিকর, অশালীন অভিযোগ তুলছেন।” তৃণমূলের জেলা সভাপতি চন্দন ভৌমিক অভিযোগ করেন, “মহম্মদ সেলিম ভিত্তিহীন অশালীন মন্তব্য করেছেন বলে শুনেছি। আমরা সভার ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে কমিশনের কাছে অভিযোগ করব।” জেলার দুই আরএসপি বিধায়ক সম্প্রতি তৃণমূলে যোগ দেন। ঘটনাকে ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতেও চাঞ্চল্য দেখা দেয়। বামফ্রন্টের কর্মী ও সমর্থক মহলে প্রশ্ন উঠেছে, ১৯৭৭ সাল থেকে আরএসপি-র দখলে থাকা বিধানসভা আসন দুটি কী হাতছাড়া হবে? দলত্যাগীদের মধ্যে অনন্তবাবু উপ নির্বাচনে ময়নাগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন। আরএসপি-র রাজ্য নেতা সুকুমার ঘোষ অভিযোগ করেন, “পরিবর্তনের নামে প্রহসন চলছে। বিরোধীদের পঞ্চায়েত গঠন করতে দেওয়া হয়নি। নানা ভাবে ভয় দেখিয়ে কর্মীদের দল ছাড়তে বাধ্য করা হচ্ছে।”