ছাত্রীদের শ্লীলতাহানির অভিযোগে প্রাথমিক শিক্ষককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে বেলাকোবা স্টেশন কলোনি নিম্ন বুনিয়াদি প্রাথমিক স্কুলে। বছর তিনেক আগে ওই শিক্ষক বেলাকোবার এই স্কুলে যোগ দেন বলে জানা গিয়েছে। অভিযোগ, শরীর ভাল আছে কি না জানার ছুতোয় অভিযুক্ত শিক্ষক নানা ভাবে ছাত্রীদের শ্লীলতাহানি করত। ছাত্রীদের থেকে শুনে অভিভাবকরা এ দিন স্কুলে অভিযোগ জানাতে এলে, অভিযুক্ত শিক্ষকের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। অভিভাবকরা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। অভিযুক্ত শিক্ষকের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। ধৃত শিক্ষক নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন। জলপাইগুড়ির ডেপুটি পুলিশ সুপার প্রভাত চক্রবর্তী বলেন, “অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিভাবকেরা শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছেন। সেই অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়েছে।”
অভিযুক্ত বেলাকোবা স্টেশন কলোনি এলাকার বাসিন্দা বলে পুলিশ জানায়। স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রভাস কণ্ডু বলেন, “অভিভাবকদের থেকে জানার পরে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের কাছে জানতে চাওয়া হয়। এক ছাত্রীর জ্বর এসেছে কি না তাই তিনি জানতে চেয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন। শ্লীলতাহানির কথা তিনি অস্বীকার করেছেন। স্কুলের পক্ষ থেকে ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হবে।”
দু’টি মৃত্যু। দুটি পৃথক এলাকাতে দুটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সোমবার রাতে ও মঙ্গলবার সকালে চোপড়া থানা এলাকায় এই ঘটনাগুলি ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম প্রতাপ মণ্ডল (৭)। তার বাড়ি চোপড়ার সুধাগড় এলাকাতে। অপর এক কিশোরীর নাম শাদিকা খাতুন (১৫)। শাদিকার বাড়ি চোপড়ার হাপতিয়াগছ এলাকায়। সোমবার সন্ধ্যায় শাদিকা বাড়িতেই বিষ খায় বলে অভিযোগ। কি কারণে ঘটনাটি ঘটেছে তা পুলিশ দেখছে। অন্য দিকে, মঙ্গলবার সকালে প্রতাপ খেলার ছলে বাড়িতে এনে রাখা জমিতে দেওয়ার কীটনাশক খেয়ে নেয়। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে ইসলামপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।