রায়পুর বাগান খোলার উদ্যোগ

বন্ধ রায়পুর বাগান খোলাতে বুধবার দিনভর কয়েক দফায় বৈঠক হল জলপাইগুড়িতে। ওই বাগান কিনতে আগ্রহী এক সংস্থার প্রতিনিধিরা এ দিন জলপাইগুড়ির জেলাশাসক পৃথা সরকারের সঙ্গে দেখা করেন। বৈঠকে ছিলেন বাগানের বর্তমান মালিকও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০১৪ ০২:২৫
Share:

খুদের খেলার সঙ্গী মুরগি ছানারাই। বন্ধ রায়পুর চা বাগানে সন্দীপ পালের তোলা ছবি।

বন্ধ রায়পুর বাগান খোলাতে বুধবার দিনভর কয়েক দফায় বৈঠক হল জলপাইগুড়িতে। ওই বাগান কিনতে আগ্রহী এক সংস্থার প্রতিনিধিরা এ দিন জলপাইগুড়ির জেলাশাসক পৃথা সরকারের সঙ্গে দেখা করেন। বৈঠকে ছিলেন বাগানের বর্তমান মালিকও। ছিলেন জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান তথা তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তীও। প্রশাসন সূত্রের খবর, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে কয়েক দিনের মধ্যেই বাগানের পরিচালনার ভার হস্তান্তর হতে পারে। বাগানের বর্তমান মালিক পক্ষ কিংবা হবু মালিক পক্ষের তরফে কেউই মন্তব্য করতে চাননি। তবুও সৌরভবাবুর আশা, আজ, বৃহস্পতিবারের মধ্যে চা বাগানের পরিচালনার ভার নতুন সংস্থার হাতে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে বাগানে কাজ শুরু হতে পারে বলেও তিনি মনে করেন। সৌরভবাবু বলেন, “আমি আশাবাদী। বাগান খোলাতে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।”

Advertisement

জেলাশাসক জানান, রায়পুর চা বাগানের জমি সংক্রান্ত বিষয়ে কিছু প্রশাসনিক জটিলতা আছে। তাই ওই বাগান সংক্রান্ত সব তথ্য কলকাতায় পাঠানো হয়েছে। জেলাশাসক বলেন, “কলকাতায় গিয়ে আলোচনা করে উভয় পক্ষকে সব কিছু মিটিয়ে নিতে বলা হয়েছে।” জেলাশাসক জানিয়ে দিয়েছেন, এ দিন রায়পুর বাগান নিয়ে প্রশাসনের তরফে বৈঠক ডাকা হয়নি। তৃণমূল শ্রমিক সংগঠন দেখা করতে চাওয়ায় জেলাশাসক সময় দিয়েছিলেন।

২০১৩ সালের অক্টোবরে রায়পুর চা বাগান বন্ধ হয়। বন্ধ বাগানে অর্ধাহার এবং অপুষ্টিতে এক মাসে ৬ শ্রমিকের মৃত্যুর অভিযোগ ওঠায় রাজ্য প্রশাসনে আলোড়ন পড়ে। মন্ত্রী, বিধায়ক থেকে শুরু করে ডান-বাম বিভিন্ন প্রতিনিধি দল বাগান পরিদর্শনে যান। তৃণমূলের তরফে বাগানের নতুন মালিক খুঁজে দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়। এ দিন তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বাগানের বর্তমান মালিক সুব্রত শাহও জেলাশাসকের দফতরে গিয়েছিলেন। তৃণমূল সূত্রে খবর, সুব্রতবাবুর থেকে রায়পুর বাগানের সংখ্যাগরিষ্ঠ শেয়ার কিনেছেন একটি সংস্থার প্রতিনিধি তামিলনাড়ুর বাসিন্দা গুরুশঙ্কর। বাগান পরিচালনার জন্য গুরুশঙ্করবাবুদের ‘এনওসি’ দেওয়া হয়েছে। সুব্রতবাবু জেলা তৃণমূল সভাপতিকে দেখিয়ে বলেন, “আমার কোনও বক্তব্য নেই। যা বলার উনিই বলবেন।” তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেতা তথা বাগানের পঞ্চায়েত সদস্য প্রধান হেমব্রম বলেন, “নতুন মালিক একাধিকবার বাগানে এসেছেন। শ্রমিকদের সঙ্গে কথাও বলেছেন। বাগানের বকেয়া মেটানো হবে বলে আমরা আশা করছি।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement