ময়নাগুড়িকে পুরসভায় উন্নীত করতে প্রশাসনিক তৎপরতা শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার ব্লক প্রশাসনের তরফে ওই বিষয়ে আরও কিছু নথিপত্র নবান্নে পাঠানো হয়। প্রশাসনের কর্তারা এ বিষয়ে কিছু না বলতে চাইলেও জেলা তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফরে আলিপুরদুয়ারকে পৃথক জেলা ঘোষণা এবং ময়নাগুড়িকে পুরসভায় উন্নীত করার ঘোষণা হবে। এ দিকে আলিপুরদুয়ার পুরসভায় তৃণমূলের তরফে অনাস্থা আনার সিদ্ধান্তও নিয়েছে তৃণমূল।
জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল পর্যবেক্ষক সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী বেশ কিছু উপহার নিয়ে উত্তরবঙ্গে আসবেন। সেখানে পৃথক আলিপুরদুয়ার জেলা থেকে ময়নাগুড়ি পুরসভার মতো অনেক কিছু থাকবে।” তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, আলিপুরদুয়ারকে পৃথক জেলা ঘোষণার বিষয়ে সোমবার দুই দফায় মুখ্যমন্ত্রী দলের জেলা পর্যবেক্ষক সৌরভবাবুর সঙ্গে কথা বলেন। কথা হয় ময়নাগুড়িকে পুরসভা করার প্রস্তাব নিয়েও।
ময়নাগুড়ির বিডিও সংহিতা তলাপাত্র অবশ্য পুরসভা ঘোষণার বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, “আমার পক্ষে কিছু বলা সম্ভব নয়। সরকারের তরফে পুরসভার বিষয়ে তথ্য চাওয়া হয়েছিল, তা পাঠানো হয়েছে।” ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সভাপতি সুভাষ বসু বলেন, “আশা করছি মুখ্যমন্ত্রী ২ জুন উত্তরকন্যা থেকে আমাদের আশা পূরণের কথা শোনাবেন।”
আলিপুরদুয়ার পুরসভায় অনাস্থা প্রসঙ্গে, সৌরভবাবু বলেন, “আলিপুরদুয়ার শহরকেও আমরা নতুন সাজে সাজাতে চাই। কিন্তু পুরসভা হাতে না থাকলে কাজ করা সম্ভব নয়। ওই কারণে অনাস্থা আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ওই বিষয়ে নোটিশ দেওয়া হবে।” বামফ্রন্ট পরিচালিত আলিপুরদুয়ার পুরসভার ২০ সদস্যের মধ্যে বর্তমানে তৃণমূলের ৯ জন সদস্য রয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফর ঘিরে আশায় আলিপুরদুয়ারও। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, আগামী ৩ জুন আলিপুরদুয়ারের জয়ন্তী যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। তখন পৃথক আলিপুরদুয়ার জেলার সরকারি ঘোষণা হতে পারে বলে তৃণমূলের স্থানীয় নেতারা মনে করছেন। প্রশাসনের তরফে অবস্য বিষয়টি নিয়ে কেউ কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তৃণমূল যুবক কংগ্রেসের রাজ্যের কার্যকরী সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী আলিপুরদুয়াকে জেলা ঘোষণা করতে ৩ জুন আলিপুরদুয়ার আসবেন বলে শুনেছি।” কংগ্রেস নেতা বিশ্বরঞ্জন সরকার বলেন, “দীর্ঘদিন আন্দোলন হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জেলা ঘোষণা করলে তা ভাল ব্যাপার।”