চলতি মাসের শুরুতেই পাহাড় সফরের সময় গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা নেতা তথা জিটিএ সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকের পরে ফের দশমীতে পাহাড়ে আসার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সে সময়ে রাজ্য সরকার এবং জিটিএ-এর যৌথ উদ্যোগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের কথা ঘোষণা করেছিলেন তিনি। এ দিন বৃহস্পতিবার সেই একই সময়ে সংস্কৃতি এবং পর্যটন মেলা করার কথা ঘোষণা করল জিটিএ। আগামী ৮ অক্টোবর সেই অনুষ্ঠানে পাহাড়ের সব সম্প্রদায়ের বাসিন্দাদের সামিল করার কথাও জানিয়েছেন গুরুঙ্গ। মুখ্যমন্ত্রী যে সময়ে পাহাড়ে রাজ্য-জিটিএ যৌথ অনুষ্ঠান আয়োজনের কথা ঘোষণা করেছেন, সেই একই সময়ে শুধুমাত্র জিটিএ-এর নিজস্ব মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ঘোষণাকে নিছকই সমাপতন বলে জিটিএর সদস্যদের একাংশ দাবি করেছেন। যদিও, সম্প্রতি পাহাড়ে তিন রাস্তার দরপত্র ডাকা, হর্কাস মার্কেট তৈরি সহ নানা বিষয়ে রাজ্যের সঙ্গে আইনি সংঘাতের পথ বেছে নিয়েছে জিটিএ তথা মোর্চা নেতারা। সে কারণেই পাহাড়ের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, রাজ্য সরকারের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠান এড়াতেই গুরুঙ্গরা আগেভাগে নিজেদের আয়োজনের কথা ঘোষণা করে রাখলেন।
এ দিন আবার মোর্চার সুরেই চৌরাস্তায় হকার্স মার্কেট তৈরির বিরোধিতা করলেন পাহাড়ের তৃণমূল এক নেত্রী। তৃণমূলের পাহাড় কমিটির মহিলা শাখার আহ্বায়ক শ্রদ্ধা সুব্বা বলেন, “চৌরাস্তায় শুধু পাহাড়ের বাসিন্দারা নন, পর্যটকেরাও আসেন। সেখানে কোনও বাজার ভবন তৈরি করা উচিত্ নয়।” তৃণমূলের পাহাড় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিন্নি শর্মা বলেন, “উনি যা বলেছেন, সেটা ওঁর ব্যক্তিগত মতামত। এ বিষয়ে আমাদের কিছু বলার নেই। আমরা এই মন্তব্যের নিন্দা করছি। মুখ্যমন্ত্রী ওই প্রকল্পের শিলান্যাস করেছেন, বিষয়টি এখন বিচারাধীন। নির্দিষ্ট সময়েই বিষয়টির সমাধান হবে।”
বৃহস্পতিবার দার্জিলিঙের ভানু ভবনের এক অনুষ্ঠান থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং ফুলপাতি যাত্রার ঘোষণা করেন বিমল গুরুঙ্গ। দশমীর সময়েই ফুলপাতি যাত্রা হয় পাহাড়ে। সেই শোভাযাত্রায় জিটিএ সাহায্য করবে বলে গুরুঙ্গ জানিয়েছেন।