তামাঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সংবর্ধনা। বৃহস্পতিবার লেবংয়ে রবিন রাইয়ের তোলা ছবি।
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে হাসিমুখেই গিয়েছিলেন জিটিএ প্রতিনিধিরা। তবে বেরিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন তাঁরা।
দার্জিলিঙের রিচমন্ড হিলে বৃহস্পতিবার ছিল জিটিএ ও রাজ্য সরকারের বৈঠক। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা নেতারা তথা জিটিএ প্রতিনিধিরা মুখে হাসি নিয়েই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যান। তবে বেরিয়ে আসার পরেই আমূল বদলে যায় তাঁদের মেজাজ।
বৈঠকের পরে বেরিয়ে রোশন গিরি সহ অন্য নেতারা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁরা লিখিত ভাবে মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়ে দেন, ২০১১ সালে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে সই হওয়া ত্রিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী পাহাড়ে উন্নয়নের জন্য রাজ্য সরকারকে ৫৭টি দফতর জিটিএকে হস্তান্তর করার কথা। চুক্তির পরে ৩ বছর পেরিয়ে গেলেও, এখনও তথ্য সংস্কৃতি, পূর্তর মতো গুরুত্বপূর্ণ দফতর হস্তান্তর করেনি রাজ্য। হস্তান্তর হলেও খাদ্য ও সরবারহ, ভূমি রাজস্ব, শিক্ষা সহ একডজন দফতরের কাজ পুরোপুরি জিটিএ-এর হাতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।. কিছু ক্ষেত্রে যে দফতরগুলি হস্তান্তর করা হয়েছে, সেগুলিরও কিছু প্রকল্পে বিলি বন্টনের কাজ জিটিএকে এড়িয়ে রাজ্য সরকার করে চলেছে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে।
পাহাড়ে রাস্তা তৈরি এবং অনগ্রসর কল্যাণ দফতরের জিটিএকে এড়িয়ে ভাতা বিলি করার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করেও স্থগিতাদেশ নিয়ে এসেছে জিটিএ। পাহাড়ের জন্য নেওয়া ভূমি দফতর এবং খাদ্য দফতরের বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে এ দিন মুখ্যমন্ত্রীকে লিখিত ভাবে নালিশও জানিয়েছে জিটিএ। যদিও, মোর্চার দাবি, এভাবে দাবি, মামলা করে স্থগিতাদেশ আনা গেলেও, দফতর হস্তান্তর না হলে জিটিএ স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে না। তা হলে পাহাড়বাসীর কাছে মোর্চা তথা জিটিএ-এর পদাধিকারীদের ক্ষমতা নিয়েই প্রশ্ন উঠবে বলে মোর্চার আশঙ্কা।
পরে অবশ্য লেবঙের প্রকাশ্য সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “পাহাড়ে আমাদের জিটিএকে নিয়ে কাজ করতে হয়। রাজ্য সরকারের অনেক দফতর জিটিএকে দেওয়া হয়েছে। সাধ্য মতো সহযোগিতা করছি। আমাদের হাতেও অনেক প্রকল্প রয়েছে। পিপিপি মডেলে মেডিক্যাল কলেজ, পাওয়ার স্টেশন অনেক কিছু হবে। দার্জিলিঙে আরও পর্যটন কেন্দ্র তৈরি করব।”