১০০ দিন প্রকল্পের বকেয়া মজুরি না পেয়ে পঞ্চায়েতে তালা ঝুলিয়ে দিলেন ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। মালদহের চাঁচল-১ ব্লকের কলিগ্রাম পঞ্চায়েতে সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে। দুমাস আগে কাজ করার পর পঞ্চায়েতে ঘুরেও বকেয়া মিলছে না বলে অভিযোগ তুলে এদিন সকাল ১১টায় দফতরে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে দুপুর দুটায় তালা খুললে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। ১০০ দিনের প্রকল্পে অনলাইন পদ্ধতি চালু হওয়ায় ওই সমস্যা তৈরি হয়েছে। কলিগ্রামে শ্রমিক বিক্ষোভের পাশাপাশি এ দিন নাগরিক পরিষেবার দাবিতে সামসি পঞ্চায়েত ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা। দুপুরে বিজেপির নেতৃত্বে ঘেরাও বিক্ষোভের ঘটনাটি ঘটে। চাঁচলের বিডিও সুব্রত বর্মন বলেন, “শ্রমিকদের মজুরি নিয়ে সমস্যার কথা প্রশাসনে বলা হয়েছে। অনলাইন পদ্ধতির জন্য সমস্যা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। আশা করছি সপ্তাহ খানেকের মধ্যে সমস্য মিটে যাবে।”
জুন থকে ওই এলাকায় পুকুর ও রাস্তার কাজে মাটি খোঁড়া হয়েছে। সে জন্য ৩৬০০ শ্রমিকের বকেয়া মজুরির পরিমাণ ৪৫ লক্ষ টাকায় দাঁড়িয়েছে। কাজ শুরু হওয়ার পরে এখনও কোনও শ্রমিক তাঁদের মজুরি পাননি। অথচ পঞ্চায়েতের তরফে প্রশাসনকে তথ্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রধান রতন দাস বলেন, “আমাদের কোনও ত্রুটি নেই। গত ১৭ জুলাই পঞ্চায়েত থেকে যাবতীয় তথ্য ব্লক প্রশাসনের পাঠিয়ে দেওয়া হয়। প্রশাসনকে সমস্যা জানানো হয়েছে।”
শ্রমিকদের অভিযোগ, কাজ করার পর তিন মাস হতে চললেও কোনও পারিশ্রমিক মেলেনি। প্রতিদিন হাজির হলেও আশ্বাস ছাড়া কিছু মেলেনি। দুই শ্রমিক হামিদুল আলি এবং সফিকুল আলি বলেছেন, “কাজ করে মজুরি না পেলে খাব কী? অথচ পঞ্চায়েতে গেলে প্রতিদিন বলা হচ্ছে দু’একদিনের মধ্যে অ্যাকাউন্টে টাকা চলে যাবে। হন্যে হয়ে ঘুরেও ফল না হওয়ায় পঞ্চায়েত তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।”