মানিকচকের পরে এ বার মালদহেরই কালিয়াচকে ফের নির্বাচন কমিশনের কর্মীদের উপরে আক্রমণের অভিযোগ উঠল। এক্ষেত্রেও অভিযোগ তির তৃণমূলের দিকেই। তবে তৃণমূল সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
কমিশনের কাছে খবর পৌঁছয়, কালিয়াচকের আলিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাম্বা মোড়ের সামনে সরকারি কিছু ভবনে ও কিছু ব্যক্তি মালিকানাধীন বাড়িতে বিনা অনুমতিতে তৃণমূলের পতাকা ও ফেস্টুন লাগানো রয়েছে। সোমবার বিকেলে কমিশনের মডেল কোড অব কন্ডাক্ট (এমসিসি) রক্ষার দায়িত্বে থাকা কর্মীরা সেখানে পৌঁছন। তাঁদের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন কালিয়াচক ১ ব্লকের এমসিসি-র ওসি অপ্রতীম বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁরই নির্দেশে ওই পতাকা-ফেস্টুন খোলার সময় স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা তাঁদের ঘিরে ধরেন বলে অভিযোগ। কমিশন সূত্রে খবর, তাঁদের ফ্ল্যাগ-ফেস্টুন খুলতে বাধাও দেওয়া হয়। তৃণমূলকর্মীরা কমিশনের দলটির কর্মীদের এলাকায় ধরে রাখতে রাস্তাতে শুয়েও পড়েন। কালিয়াচক থানার পুলিশ গিয়ে অপ্রতীমবাবুদের উদ্ধার করেন। অপ্রতীমবাবু বলেন, “বেআইনি ভাবে লাগানো তৃণমূলের পতাকা-ফেস্টুন খুলতে গেলে কিছু লোক আমাদের ঘিরে ধরেন। তাঁরা আমাদের আটকেও রাখেন।” পরে কালিয়াচক থানায় অভিযোগ করেন কালিয়াচক ১ ব্লকের বিডিও দীপ্তার্ক বসু। তিনি বলেন, “কমিশনের দলকে ওই এলাকায় অনেক ক্ষণ আটকে রাখা হয়েছিল। পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে।”
হাওড়া-হাবড়ার পরে মালদহের মানিকচকে সম্প্রতি আক্রান্ত হন কমিশনের কর্মীরা। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ মালদহের তৃণমূলের প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেনের সমর্থনে মোটরবাইক মিছিলের ছবি তুলতে গেলে কমিশনের কর্মীদের উপরে হামলার অভিযোগ ওঠে। সে ঘটনায় অভিযুক্ত ছিলেন মন্ত্রী তথা জেলা তৃণমূল সভানেত্রী সাবিত্রী মিত্রের জামাই সোমদীপ ওরফে টিঙ্কু সরকার সহ বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতাকর্মী। পুলিশ সেই ব্যাপারে পরে টিঙ্কুবাবু সহ সাত জনকে গ্রেফতারও করে। তার মাত্র চার দিনের মাথায় কালিয়াচকে এ দিনের ঘটনার পরে জেলার পুলিশ সুপার রুপেশ কুমার বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
মন্ত্রী সাবিত্রীদেবীর অবশ্য বক্তব্য, “কিছুই হয়নি। সরকারি জায়গাতে আমাদের কোনও পতাকাও ছিল না। ব্যক্তি মালিকানাধীন ভবনেও অনুমতি নিয়েই পতাকা-ফেস্টুন লাগানো হয়েছিল। অন্য দলেরও পতাকা ছিল। কিন্তু এমসিসি বেছে বেছে তৃণমূলের পতাকাগুলিই খুলছিল। আমাদের কর্মীরা তার প্রতিবাদ করেছে মাত্র। কাউকে হেনস্থা করা হয়নি।”