জেলা বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিরোধী দলের বিধায়কদের আমন্ত্রণ না করার অভিযোগ ঘিরে সরগরম কোচবিহার।
আজ, সোমবার রাসমেলা ময়দানে কোচবিহার জেলা বইমেলা শুরু হবে। মেলা কমিটি সূত্রের খবর, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্রে তৃণমূলের সাংসদ, বিধায়কদের নাম রয়েছে। তবে যে বিধানসভা এলাকায় বইমেলা হচ্ছে, সেখানকার বিধায়ক ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা অক্ষয় ঠাকুরের নাম আমন্ত্রণপত্রে নেই বলে অভিযোগ।
বিধায়ককে আমন্ত্রণ পর্যন্ত জানানো হয়নি বলে অভিযোগ। এমনকি, বিরোধী দলের জেলার আরও তিন বিধায়ককেও ডাকা হয়নি। অক্ষয়বাবু বলেন, “তৃণমূল সরকারে আসার পর থেকে যে কোনও সরকারি অনুষ্ঠানকে দলীয় অনুষ্ঠানে পরিণত করেছে। এদের কাছে আশা করার কিছু নেই।” যদিও কোচবিহার বইমেলা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায়ের দাবি, “আমরা সকলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। লোকাল লাইব্রেরি অথরিটির মিটিঙে আমন্ত্রণপত্রে কার নাম রাখা হবে, তা ঠিক করা হয়েছে।”
রবিবার বিকালে বইমেলা নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন কোচবিহারের জেলাশাসক পি উল্গানাথন। তিনি জানান, বইমেলার উদ্বোধন করবেন পূর্ত দফতরের পরিষদীয় সচিব রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন। বিরোধীদের অভিযোগ, আমন্ত্রণপত্রে সভাধিপতি, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারের সাংসদ, বিধায়ক, পুরসভার চেয়ারম্যান, জেলার দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং মেলা কমিটির সভাপতির (জেলাশাসক) নাম রয়েছে। কিন্তু বিরোধী ফরওয়ার্ড ব্লক বিধায়ক অক্ষয় ঠাকুর, উদয়ন গুহ, নগেন রায়, পরেশ অধিকারীর নাম নেই। সিতাইয়ের কংগ্রেস বিধায়ক কেশব বর্মনের নামও রাখা হয়নি। কেশববাবু বলেন, “আমাকে ডাকা হয়নি।”এবারের বইমেলায় ১৪১টি স্টল বসছে। কলকাতা, বাংলাদেশ থেকে প্রকাশনী আসছে। লিটল ম্যাগাজিনের জন্য থাকছে আলাদা স্টলও। সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের স্টলও থাকবে। মেলায় একটি সাংস্কৃতিক মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। সেখানে প্রতিদিন লোকসংস্কৃতি থেকে রবীন্দ্রসঙ্গীত, ভাওইয়াইয়া, রাভা নৃত্য, কবিতা পাঠের আসর, ক্যুইজ হবে। রাজা জগদ্দীপেন্দ্র নারায়ণ এবং মনীষী পঞ্চানন বর্মা জগদ্দীপেন্দ্র নারায়ণের এবার জন্ম শতবর্ষ এবং পঞ্চানন বর্মার সার্ধ শতবর্ষ। ওই দুইজনের উপরে দুই দিন সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে।
সাত দিন ধরে মেলা চলবে। দুপুর ১২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা চলবে। জেলাশাসক বলেন, “মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগে একটি র্যালি হবে। সাধারণ মানুষদের মধ্যে বইয়ের আগ্রহ বাড়ানোই আমাদের লক্ষ্য।”