বিধিভঙ্গের অভিযোগে বিবাদ

ঋণের জন্য শিবিরে হাজির হয়েছিলেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সংখ্যালঘু মহিলারা। কিন্তু সিপিএমের বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙের অভিযোগ তুলে তৃণমূল শিবির করতে বাধা দেওয়ায় উত্তেজনা ছড়াল মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের তুলসিহাটায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চাঁচল শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০১৪ ০৩:৩২
Share:

ঋণের জন্য শিবিরে হাজির হয়েছিলেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সংখ্যালঘু মহিলারা। কিন্তু সিপিএমের বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙের অভিযোগ তুলে তৃণমূল শিবির করতে বাধা দেওয়ায় উত্তেজনা ছড়াল মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের তুলসিহাটায়। বৃহস্পতিবার দুপুরে তুলসিহাটা উপবাজার চত্ত্বরে শিবিরে সিপিএমের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও ব্লক তৃণমূল সভাপতি সহ-দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয় বলে অভিযোগ।

Advertisement

নির্বাচন বিধি ভেঙে পঞ্চায়েত সমিতির সিপিএম সভাপতি শিবিরের আয়োজন করেছিলেন বলে অভিযোগ তৃণমূলের। সিপিএমের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে লিখিতভ অভিযোগ জানিয়েছে তৃণমূল। পাল্টা অভিযোগ করেছে সিপিএমও। দলের অভিযোগ, “তৃণমূল না করলে ওই মহিলাদের ফর্ম পূরণের সুযোগ দেওয়া হবে না বলে তৃণমূল হুমকি দিয়েছে।” গন্ডগোলের খবর পেয়ে এসডিপিও পিনাকী রঞ্জন দাসের নেতৃত্বে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। পুলিশ রুট মার্চও করে! প্রশাসনের নির্দেশে এলাকায় পৌঁছান নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি দলও। তাঁরা ঘটনার ভিডিও রেকর্ডিং করেন।

হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকের বিডিও বিপ্লব কুমার রায় বলেন, “এটা কোনও প্রশাসনিক কর্মসূচি ছিল না। বিস্তারিত রিপোর্ট মহকুমাশাসকের কাছে পাঠানো হয়েছে।” চাঁচলের মহকুমাশাসক সঞ্জীব দে বলেন, “ভিডিও রেকর্ডিং-সহ বিস্তারিত রিপোর্ট জেলা নির্বাচন আধিকারিকের কাছে পাঠানো হয়েছে। তাঁরাই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।”

Advertisement

পুলিশ ও প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, এদিন তুলসিহাটা উপবাজার চত্ত্বরে চেয়ার-টেবিল পেতে ওই শিবিরে হাজির ছিলেন সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত নিগমের অফিসার আফজল হোসেন। চুক্তির ভিত্তিতে তিনি সংস্থার হয়ে ব্লকের সংখ্যালঘুদের নানা বিষয়ের দেখভাল করেন। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের ঋণ দেওয়া হবে বলে তাঁদের ফর্ম জমা নেওয়া হয়। এদিন ওই মহিলাদের নথিপত্র নিয়ে স্ক্রুটিনির জন্য আসতে বলা হয়। সেই সময় প্রচার সেরে সেখান দিয়ে যাচ্ছিলেন ব্লক তৃণমূল সভাপতি সভাপতি বিকাশ বন্দোপাধ্যায়-সহ তৃণমূলের কর্মীরা। তাঁরা শিবির বন্ধ করে দেন। সেখানে যান পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জামিল ফিরদৌস। এরপরেই দুপক্ষে ধ্বস্তাধ্বস্তি বেঁধে যায়।

ব্লক তৃণমূল সভাপতি বলেন, “নির্বাচন বিধি ভেঙে উপবাজারে সভাপতির নেতৃত্বে বেআইনিভাবে ওই শিবির করা হয়েছিল। ভোটারদের প্রলুব্ধ করতে সিপিএম এসব করছে। আমরা নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করেছি।” যদিও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বলেন, ‘‘অভিযোগ ভিত্তিহীন। গোটাটাই এটা সংখ্যালঘু দফতরের বিষয়। গন্ডগোলের খবর পেয়ে আমি সেখানে গেলে ওঁরা আমাদের উপর চড়াও হয়।”

এদিন বিকেলে ওই কর্মী আফজল হোসেন অবশ্য দাবি করেন, “আমাকে কেউ শিবির করতে বলেনি। নিজের ইচ্ছায় শিবির করেছিলাম। এতে যে নির্বাচন বিধিভঙ্গ হবে তা বুঝতে পারিনি।”

অভিযোগ। বালুরঘাট আদালতের সরকারি আইনজীবী তথা তৃণমূল নেতা সুভাষ চাকির বিরুদ্ধে বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার বালুরঘাটে দলের কর্মীসভায় কংগ্রেস সভাপতি নীলাঞ্জন রায় অভিযোগ করেন, ওই তৃণমূল নেতা সরকারি আইনজীবীর দায়িত্বে থেকেও বুধবার কুমারগঞ্জে দলীয় কর্মীসভার মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। নির্বাচন কমিশনে বিষয়টি জানানো হচ্ছে। সুভাষবাবুর বক্তব্য, “আগে অভিযোগটা কী হচ্ছে, সেটা জানি। তার পরে যা বলার বলব।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement