অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, রাস্তা সংস্কার সহ পরিকাঠামো উন্নয়নের প্রস্তাব নিয়ে নিজেদের দখলে থাকা গ্রাম পঞ্চায়েতে স্মারকলিপি দিতে গিয়ে রাত পর্যন্ত তৃণমূলের হাতে ঘেরাও থাকলেন সিপিএম কর্মী সমর্থকরা। কোচবিহার কোতোয়ালি থানার খাপাইডাঙা গ্রামে মঙ্গলবার এমনই ঘটেছে বলে অভিযোগ। পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি মেনে এ দিন বিকেলে এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েত দফতরে স্মারকলিপি দিতে মিছিল শুরু করেন শ’খানেক সিপিএম কর্মী সমর্থকরা। গ্রাম পঞ্চায়েত দফতরের সিপিএমেরপ নেতা-কর্মীরা ঢোকার পরে তৃণমূলের কর্মীরা চারদিক ঘিরে ফেলে বলে অভিযোগ। তৃণমূলের অভিযোগ, লাঠি এবং ধারাল অস্ত্র নিয়ে সিপিএম কর্মীরা মিছিল করেছে। অফিস থেকে বের হওয়ার পথও আটকে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার পরেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। রাত ৯টা পর্যন্ত ঘেরাও চলে বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলে পুলিশ বাহিনী মোতায়েন ছিল। পুলিশের হস্তক্ষেপেই ঘেরাও উঠে যায় বলে জানা গিয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য কয়েকজন সিপিএম নেতা-কর্মীকে থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশ সুপার রাজেশ যাদব বলেন, “দুই পক্ষের জমায়েতের খবর পেয়েই বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।” বাম শিবির সূত্রের খবর, দলের দখলে থাকা খাপাইডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের একাধিক বাম সদস্যকে হুমকি দিয়ে তৃণমূল নিজেদের শিবিরে টানার চেষ্টার অভিযোগ তুলে দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা আন্দোলনের কর্মসূচি নেয়। সেই সঙ্গে পরিকাঠামো উন্নয়নের প্রস্তাবও রাখা হয়। যদিও, তৃণমূলের ব্লক সভাপতি পরিমল বর্মনের অভিযোগ, “মিছিলের অজুহাতে লাঠি, ধারালো অস্ত্র নিয়ে সমর্থকদের জমায়েত করে সিপিএম। পরিকল্পিত ভাবে এলাকায় অশান্তি তৈরির ছক করা হয়েছিল। ওই প্রবণতা রুখতে মিছিল ঘেরাও করে, পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।” অন্য দিকে, সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অনন্ত রায় পাল্টা দাবি করে বলেন, “মিছিলে স্বতস্ফূর্ত ভিড় দেখে দিশেহারা হয়ে তৃণমূল কংগ্রেস এখন নানা ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে সিপিএম সহ বাম নেতা কর্মীদের ঘেরাও করে রাখছে। পুলিশকে পুরো বিষয়টি মৌখিক ভাবে জানিয়েছি। অভিযোগও করা হবে।”