দার্জিলিং জেলায় ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থা চালু করার দাবি তুললেন দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের নির্দল প্রার্থী তথা দার্জিলিং ডুয়ার্স ইউনাইটেড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের (ডিডিইউডিএফ) অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মহেন্দ্র পি লামা। বুধবার দুপুরে শিলিগুড়িতে সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি জানিয়েছেন, শুক্রবার লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের পরে প্রয়োজনে তাঁরা জনস্বার্থে মামলা করবেন। তাঁর দাবি, “দার্জিলিং জেলায় পঞ্চায়েত ব্যবস্থা খুব এলোমেলো হয়ে রয়েছে।” সমতলে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের মাধ্যমে কাজ হচ্ছে। তিনি বলেন, “পাহাড়ের তিন মহকুমায় পঞ্চায়েতের কোনও কাজই হচ্ছে না। পাহাড়ের গ্রামীণ এলাকার মানুষ কেন্দ্রীয় সরকারের নানা প্রকল্প থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।”
তিনি জানান, ১৯৮৮ সালে দার্জিলিং পার্বত্য পরিষদ গঠনের সময় সংবিধান সংশোধন করে দ্বিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থার কথা বলা হয়। ১৯৯২ সালে তা চালু হলেও তা গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরেই সীমাবন্ধ ছিল। এখন পাহাড়ে জিটিএ গঠন হয়েছে। সেখানে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থা চালুর কথা বলা হয়েছে। অথচ সংবিধান সংশোধন না করে তা সম্ভব নয়। কারণ, জিটিএ তৈরি হওয়ায় পার্বত্য পরিষদের অস্তিত্ব বিলোপ হয়েছে। সমতলে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের নির্বাচনের তোড়জোর শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে জেলার সকল মানুষের উন্নয়নের স্বার্থে তাই সংবিধান সংশোধন করে দার্জিলিং জেলা পরিষদ গঠন করা দরকার।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, দার্জিলিং জেলায় পার্বত্য পরিষদ গঠনের সময়ে ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের পুনর্গঠন হয়। সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে সমতলে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ তৈরি হয়। পাহাড়ে তিন মহকুমায় গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি, দ্বিস্তর ব্যবস্থা চালু হয়। জেলার ১৩৪টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ১১২টি রয়েছে পাহাড়ে। ২০০০ সালের মে মাসের পর থেকে পাহাড়ে পঞ্চায়েতের কোনও নির্বাচন হয়নি। ব্লক প্রশাসনের কর্তারাই তা দেখভাল করেন।
পাহাড়ের উন্নয়নের দায়িত্ব এখন মূলত গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনেরই (জিটিএ) উপরে। জিটিএ-র শাসক দল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চাও পাহাড়ে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থা চালুর দাবি করেছে। এই প্রসঙ্গে মোর্চার সহকারী সম্পাদক বিনয় তামাঙ্গ বলেন, “আমরা কিছু দিন আগেই ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থা চালু করার দাবি করেছি। জিটিএ চুক্তিতেও তাই বলা রয়েছে।”