নয়া জেলা গঠনের কৃতিত্ব দাবির প্রতিযোগিতা শুরু

আলিপুরদুয়ার জেলা গঠনের কৃতিত্ব কে নেবেন, তাই নিয়েই এখন শুরু হয়েছে প্রতিযোগিতা। আরএসপি-র নির্মল দাস সেই সত্তরের দশক থেকে আগাগোড়া নতুন জেলা গঠনের দাবি জানিয়ে এসেছেন। এখন সেই একই কাজ করেছেন বলে দাবি তুলেছেন আরও অনেক নেতা ও দল। যেমন, আলিপুরদুয়ারের প্রবীণ কংগ্রেস নেতা বিশ্বরঞ্জন সরকার ঝুলি হাতড়ে তুলে আনছেন তাঁরা কংগ্রেস আমল থেকে কী ভাবে জেলার দাবিতে লড়ছেন সে কথা।

Advertisement

নারায়ণ দে

আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ২২ জুন ২০১৪ ০১:১৫
Share:

আলিপুরদুয়ার জেলা গঠনের কৃতিত্ব কে নেবেন, তাই নিয়েই এখন শুরু হয়েছে প্রতিযোগিতা। আরএসপি-র নির্মল দাস সেই সত্তরের দশক থেকে আগাগোড়া নতুন জেলা গঠনের দাবি জানিয়ে এসেছেন। এখন সেই একই কাজ করেছেন বলে দাবি তুলেছেন আরও অনেক নেতা ও দল। যেমন, আলিপুরদুয়ারের প্রবীণ কংগ্রেস নেতা বিশ্বরঞ্জন সরকার ঝুলি হাতড়ে তুলে আনছেন তাঁরা কংগ্রেস আমল থেকে কী ভাবে জেলার দাবিতে লড়ছেন সে কথা। আলিপুরদুয়ারের কংগ্রেস বিধায়ক দেবপ্রসাদ রায়ও যে বিধানসভায় এক সময় এই দাবি নিয়ে সরব হয়েছিলেন, সেটা তুলে ধরছে তাঁর দল। বামফ্রন্টের বড় শরিক সিপিএম অতীতে আরএসপি নেতা নির্মলবাবুর চেষ্টাকে তেমন গুরুত্ব না দিলেও, এখন সেটাকেই অনেক বড় করে দেখাতে চাইছেন।

Advertisement

এই অবস্থায়, জেলা গঠনের ব্যাপারে সব দলকে ছাপিয়ে যেতে চাইছে তৃণমূল। রাজ্যের কনিষ্ঠতম জেলার জন্মলগ্নে উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ২৫ জুন আলিপুরদুয়ারের প্যারেড গ্রাউন্ডে মঞ্চ থেকে নতুন জেলার পথ চলার সূচনা করবেন তিনি।

তৃণমূলের অন্দরের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি সভায় যাতে জেলার লক্ষাধিক মানুষ উপস্থিত থাকেন, তা নিশ্চিত করতে চাইছেন তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলার সভাপতি তথা আলিপুরদুয়ার জেলার চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী। সম্প্রতি তিনি জলপাইগুড়ি জেলায় দলের দায়িত্বভার পান। তারপরেই লোকসভা ভোটে জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার আসন দু’টি দখল করে তৃণমূল। এখন আলিপুরদুয়ার আলাদা জেলাও গঠিত হল। তৃণমূলের তরফে আলিপুরদুয়ারে প্রচারে দাবি করা হচ্ছে, বছর তিনেক আগে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সময়ে আলিপুরদুয়ার জেলা গড়তে হবে এমন শর্তই সৌরভ মুখ্যমন্ত্রীকে দিয়েছিলেন।

Advertisement

জেলা গঠনের পরে পালে বাতাস টানতে তৃণমূলের ঘটা করে আসরে নেমে পড়া দেখে আরএসপি নেতাদের অনেকেই এখন দোষ দিচ্ছেন সিপিএমকে। জলপাইগুড়ির অনেক আরএসপি নেতাই মনে করছেন, নির্মলবাবু সাড়ে তিন দশক ধরে চেষ্টা করেও বড় শরিককে দিয়ে কাজটা করাতে পারেননি। তাঁদের আক্ষেপ, জেলার দাবিতে আন্দোলনের ‘ব্যাটন’ কেড়ে নিয়ে তিন বছরের মধ্যেই সাফল্যের মুখ দেখেছেন সৌরভরা। সিপিএম আর একটু উদ্যোগী হলে নতুন জেলা গঠনের সম্পূর্ণ কৃতিত্ব বামেরা নিজেদের কোলেই ধরে রাখতে পারত বলে এখন আক্ষেপ করছেন তাঁরা।

মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠানের নিমন্ত্রণ অবশ্য যাচ্ছে সব দলের কাছেই। কংগ্রেস ও বামেরা জানিয়েছেন, তাঁরা আমন্ত্রণ পেলে যাবেন। আমন্ত্রিত হলে প্রতিনিধি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি-ও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement