ভ্যালেন্টাইন্স ডে থেকে নিখোঁজ কালচিনি বাগানের এক তরুণীকে আজ রবিবার কোচবিহারে দিনহাটার এক নিষিদ্ধপল্লি থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে তরুণীকে উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার সকালে পাড়ার এক যুবকের মোবাইলে ফোন করেন ওই তরুণী। কথা শুরু করতেই মোবাইলে সংযোগ কেটে যায়। পরে বেশ কয়েক বার ওই নম্বরে ফোন করেও যোগাযোগ করা যায়নি। খোঁজ করে পুলিশ জানতে পারে, যে মোবাইল থেকে ফোন করা হয়েছিল, তা বর্তমানে দিনহাটার একটি এলাকায় রয়েছে। সেই মতো শনিবার রাতেই তরুণীর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দিনহাটায় অভিযান চালানো হয়। রাত ৯টা নাগাদ দিনহাটার এক হোটেল থেকে তাঁকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, সে সময় তরুণীটি হোটেলে ভাত খাচ্ছিল। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকাশ মেঘারিয়া বলেন, “তরুণীকে দিনহাটা এলাকার একটি নিষিদ্ধপল্লি এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য তাকে মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”
১৪ ফেব্রুয়ারি বীরপাড়ার বাসিন্দা এক আত্মীয় তরুণীকে ফুঁসলিয়ে বাড়ি থেকে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। এ বিষয়ে ১ মার্চ পুলিশে নালিশ করার পরে অভিযুক্ত আত্মীয়কে বীরপাড়া থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে। প্রথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পরেছে, ১৪ ফ্রেবুয়ারি তরুণীর সঙ্গে ওই আত্মীয়ের সঙ্গে দেখা করার কথা হ্যামিল্টনগঞ্জ এলাকায়। কিন্তু ওই আত্মীয় সে দিন না আসায় স্টেশন থেকে তিন যুবক ওই তরুণীকে নিয়ে প্রথমে জয়গাঁয় যায়। রাতে হাসিমারায় থাকে। পরের দিন ওই তরুণীকে কোচবিহারে নিয়ে যায় দুই যুবক। পুলিশ জানায়, পরিকল্পনা করেই তরুণীকে ফুঁসলিয়ে হাসিমারা ও দিনহাটার নিষিদ্ধপল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, তরুণীকে জেরা পর্ব চলছে। জেরা শেষ হলেই সব কিছু বিস্তারিত জানা যাবে।
নারী ও শিশু পাচার রুখতে কাজ করা হ্যামিল্টনগঞ্জের এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্য মানিক ধর বলেন, “এক বছরে কালচিনি থেকে ৬০ জন নারী ও শিশু পাচার হয়েছে। চা বলয়ের যুবতী ও কিশোরীদের নিষিদ্ধপল্লি এলাকায় পাচার করতে সক্রিয় একটি চক্র।”