দলবদলের জেরে আলিপুরদুয়ার ২ পঞ্চায়েত সমিতির মহিলা সদস্যকে প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ উঠেছে চার কংগ্রেস নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে। শামুকতলা থানার উত্তর মজিদখানা গ্রামে গত সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, কবিতা দাস নামে পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্তদের মধ্যে আলিপুরদুয়ার-২ ব্লক কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বাপি দাস ও তুরতুরি অঞ্চল কংগ্রেস সভাপতি সুবোধ দাস আছেন। আলিপুরদুয়ারের এসডিপিও বিশ্বচাঁদ ঠাকুর বলেন, “অভিযোগ জমা পড়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। অভিযুক্তদের ধরা হবে।”
কবিতাদেবীর অভিযোগ, “আমি কংগ্রেসে থেকে উন্নয়নের কাজ করতে না পেরে সম্প্রতি তৃণমূলে যোগ দিয়েছি। ওই চার জন আমি কেন দল ছাড়লাম তা জানতে চায়। গালিগালাজ করে প্রাণে মারার হুমকি দেয় আমাকে ধরে টানাটানি শুরু করে। সোনার হার ছিনিয়ে নেয়।” ঘটনার সময় তাঁর স্বামী বাড়িতে ছিলেন না বলে কবিতাদেবী দাবি করেছেন। যদিও সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়েছেন অভিযুক্তরা। কংগ্রেস নেতা বাপি দাস ও সুবোধ দাস বলেন, “নোংরা রাজনীতি শুরু করেছে তৃণমূল। সম্প্রতি তৃণমূলের নেতারা কংগ্রেসের চার জন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যকে সাদা কাগজে সই করান। তাঁদের ভুল বোঝানো হয়। পরে তারা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বলে মিথ্যা দাবি করা হয়। ওই চার জনের একজন থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এর পরেই দলত্যাগীকে দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হয়।” তৃণমূল কংগ্রেসের আলিপুরদুয়ার ২ ব্লকের সাধারণ সম্পাদক বিধান সরকার বলেন, “কংগ্রেসের অভিযোগ মিথ্যা। ওই চার পঞ্চায়েত সদস্য সদস্য তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। এখন কংগ্রেস নেতা কর্মীরা তাঁদের বাড়িতে গিয়ে হুমকি দিচ্ছেন।” পাল্টা প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বরঞ্জন সরকার বলেছেন, “আমাদের নেতা কর্মীরা ভোটে যাতে কাজ করতে না পারেন সে জন্য মামলা সাজানো হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের দারস্থ হব।”