দখলে হারিয়েছে পথ, শঙ্কা দুর্ঘটনার

শহরে ঢুকে ‘ঘিঞ্জি’ হয়েছে রাজ্য সড়ক। কালিয়াগঞ্জ শহরের বুক চিরে চলে গিয়েছে ১০ নম্বর রাজ্য সড়ক। একসময়ে রাজ্য সড়ককে কেন্দ্র করেই শহরের ব্যবসা বাণিজ্য বাড়লেও, বর্তমানে রাজ্য সড়কের অবৈধ দখলদারিতে অতিষ্ঠ কালিয়াগঞ্জের বাসিন্দারা।

Advertisement

তরুণ দেবনাথ

কালিয়াগঞ্জ শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০১:৩৯
Share:

সংকীর্ণ পথ। —নিজস্ব চিত্র।

শহরে ঢুকে ‘ঘিঞ্জি’ হয়েছে রাজ্য সড়ক। কালিয়াগঞ্জ শহরের বুক চিরে চলে গিয়েছে ১০ নম্বর রাজ্য সড়ক। একসময়ে রাজ্য সড়ককে কেন্দ্র করেই শহরের ব্যবসা বাণিজ্য বাড়লেও, বর্তমানে রাজ্য সড়কের অবৈধ দখলদারিতে অতিষ্ঠ কালিয়াগঞ্জের বাসিন্দারা। প্রায় ২৫ ফুট চওড়া রায়গঞ্জ-বালুরঘাট রাজ্য সড়ক কালিয়াগঞ্জে সঙ্কুচিত হয়ে কোথাও ২০ কোথাও মাত্র ১৫ ফুটে দাঁড়িয়েছে। রাজ্য সড়কের উপরেই পসরা সাজিয়ে বসেছেন একাংশ ব্যবসায়ীরা। অনুমতি ছাড়াই যথেচ্ছ পার্কিং থেকে শুরু করে অস্থায়ী কাঠামো তৈরি হয়েছে সড়কের দু’ধারে। যার জেরে সকাল থেকে দিনের বেশিরভাগ সময়েই যানজট দুর্ভোগ নিত্যসঙ্গী বলে বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন। বেড়েছে দুর্ঘটনার ঘটনাও। বিপরীত দিক থেকে দু’টি গাড়ি এলে পথচারীদের প্রাণ বাঁচাতে রাস্তা থেকে সরে দাঁড়াতে হয় বলে অভিযোগ। ব্যবসায়ী থেকে বাসিন্দারা সকলেই রাজ্য সড়কের পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ-অভিযোগ জানালেও, পদক্ষেপ হয়নি বলে অভিযোগ। উত্তর দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলাশাসক প্রভুদত্ত ডেভিড প্রধান বলেন, “সমস্যার কথা শুনেছি। তবে প্রশাসনিক ভাবে সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হওয়ার কোনও প্রস্তাব আসেনি।”

Advertisement

সমস্যার কথা স্বীকার করেছেন নেতা-জনপ্রতিনিধিরাও। অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগও তুলেছেন। এলাকার বিধায়ক প্রমথনাথ রায় বলেন, “নানা মহলে অনেক অনুরোধ করেছি, প্রশাসনকে জানিয়েছি কিন্তু সমস্যার সমাধান হয়নি।” সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য ভরতেন্দু চৌধুরী অবশ্য কংগ্রেসের পুরবোর্ডকেই সমস্যার জন্য দায়ী করেছেন। তাঁর অভিযোগ, “এই সমস্যা একদিনের নয়। পুরসভা কখনওই এ বিষয়ে উদ্যোগ নেয়নি। একটি বৈঠকও হয়নি।”

সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ করা নিয়েও শোনা গেল চাপানোতর। চলতি বছরেই কালিয়াগঞ্জ পুরসভার মেয়াদ ফুরিয়েছে। কংগ্রেসি পুরবোর্ডের বিদায়ী চেয়ারম্যান অরুণ দে সরকার বলেন, “জোর করে উচ্ছেদ্দ অভিযান হোক তা চাইনি। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। দখলাদারি সরানোর কথাও দিয়েছিলেন তারা। পরে সেটা মানেননি।” কালিয়াগঞ্জ ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক সুনীল সাহা বলেন, “প্রশাসনিক উদ্যোগ নিলে সহায়তার আশ্বাসও দিয়েছিলাম। কিন্তু তেমন কোনও উদ্যোগ-ই হয়নি।” প্রশাসন সূত্রে দাবি করা হয়েছে, পুর কর্তৃপক্ষকেই এ বিষয়ে উদ্যোগী হতে হবে, সে ক্ষেত্রে প্রশাসন সহযোগিতা করবে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, উদ্যোগী হওয়ার দায়িত্ব কার তা নিয়ে চাপানোতরের মধ্যেই থমকে রয়েছে সড়ক দখলমুক্ত করার কাজ। অব্যাহত রয়েছে নিত্য যানজট এবং ভোগান্তি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement