চলছে কংগ্রেসের সাংবাদিক সম্মেলন।
দ্রুত শিলিগুড়ি পুরসভা ও শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের নির্বাচনের দাবিতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হতে চলেছেন দার্জিলিং জেলা বামফ্রন্ট। একই দাবিতে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হওয়ার কথা ঘোষণা করেন দার্জিলিং জেলা কংগ্রেসের সভাপতি শঙ্কর মালাকারও। শনিবার শিলিগুড়িতে আলাদা ভাবে সাংবাদিক বৈঠক করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান তাঁরা। জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক অশোক ভট্টাচার্য জানান, আগামী চলতি সপ্তাহেই নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দেখা করার জন্য অনুমতি চাওয়া হয়েছে বলে জানান। শঙ্করবাবু জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশনে তার আস্থা নেই। তাই তাঁরা রাজ্যপালের দ্বারস্থ হবেন। সেই সঙ্গে আন্দোলনও শুরু করবেন। শিলিগুড়ি কার্নিভ্যাল করতে মন্ত্রীর উদ্যোগ এবং পুর প্রশাসকদের এক্তিয়ার নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, “গণতান্ত্রিক দেশে যা খুূশি ওঁরা বলতে পারেন। আমি তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না।”
এদিন শিলিগুড়িতে দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে অশোকবাবু বলেন, “আগামী ১৭ অথবা ১৮ নভেম্বরের মধ্যে একদিন নির্বাচন কমিশনারের কাছে দেখা করার জন্য সময় চাওয়া হয়েছে। জানুয়ারির মধ্যেই সংবিধান অনুসারে যাতে পুর ভোট হয় এবং মহকুমা পরিষদের ভোটের ব্যপারেও নজর দেওয়ার জন্য তাঁর কাছে অনুরোধ জানানো হবে।” মহকুমা পরিষদ এবং পুরসভা প্রশাসকরা চালাচ্ছেন। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা না থাকায় শিলিগুড়ির পুর এবং পঞ্চায়েত এলাকায় নাগরিক পরিষেবা স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে বলে তাঁর দাবি। অশোকবাবু বলেন, “পুরসভার তরফে প্রতিদিনের পরিষেবার কাজ যাতে আটকে না থাকে তার জন্য প্রশাসক বসানো হয়। উত্সব করা প্রশাসকের কাজ নয়। তার উপরে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীর কোনও এক্তিয়ার নেই প্রশাসকের কাজে হস্তক্ষেপ করার। অথচ তিনি সেটাই করছেন।”
এদিন আর এক সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রীর কার্যকলাপ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শঙ্করবাবুও। উপস্থিত ছিলেন শিলিগুড়ি পুরসভার প্রাক্তন মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত, কংগ্রেসের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সুবীন ভৌমিক, জীবন মজুমদাররা। তাঁদের অভিযোগ, এই পরিস্থিতিতে, প্রশাসক বোর্ডের সদস্য ছাড়া কোনও মন্ত্রী এমনকী পুরমন্ত্রীরও এক্তিয়ার নেই শিলিগুড়ি পুরসভা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার। অথচ রাজনৈতিকউদ্দেশ্যে অগণতান্ত্রিক ও বেআইনিভাবে পুরসভার কাজ প্রভাবিত করতে চাইছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী। শঙ্করবাবু বলেন, “কার্নিভ্যালের বিরোধী নই আমরা। কিন্তু যে সময়ে যে ভাবে এটা করা হচ্ছে তার বিরোধী।” শঙ্করবাবুর দাবি, “এখন ভোট হলে তৃণমূল হেরে যাবে বলেই তা পিছোতে চাইছে।”
এদিন কার্নিভালের বিপুল খরচ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন প্রাক্তন কংগ্রেসি মেয়র। তিনি বলেন, “উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের বহু কাজ হয়ে গেলেও বরাদ্দ টাকা আটকে আছে। এদিকে উনি উত্সব করছেন। ব্যবসায়ীদের কাছে টাকা চাওয়া হলে তা অনৈতিক।” এ সব অভিযোগ নিয়েও মন্ত্রী কোনও উত্তর দিতে চাননি।
—নিজস্ব চিত্র।