কংগ্রেসের ব্লক সম্মেলনে সাংসদ অভিজিত্ মুখোপাধ্যায়।—নিজস্ব চিত্র।
মাটিগাড়া এলাকায় তৃণমূল নেতাদের একাংশ তোলা আদায় করছেন বলে অভিযোগ করলেন মাটিগাড়া ব্লক কংগ্রেস সভাপতি বাবলু রায়। রবিবার মাটিগাড়ার পাথারঘাটায় দলের ব্লক সম্মেলনে ওই অভিযোগ করেছেন বাবলুবাবু। সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ অভিজিত্ মুখোপাধ্যায়, বিধায়ক শঙ্কর মালাকার, সুখবিলাস বর্মা, যোশেফ মুণ্ডা, কেশব রায়, সুনীল তিরকে-সহ দলের একাধিক নেতানেত্রীও। বাবলুবাবু তাঁদের সামনেই অভিযোগ করেন, “মাটিগাড়ায় তৃণমূল নেতাদের একাংশ তোলাবাজি করছেন। বহুবার ভূমিসংস্কার দফতরে জানানো হয়েছে। কিন্তু, কেউ পদক্ষেপ করছেন না।”
এ বিষয়ে জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা বিধায়ত শঙ্করবাবুও বাবলুবাবুর বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন। পরে তিনি বলেন, “মাটিগাড়া এলাকাতে শুধু চুরি ও তোলাবাজিই নয়, জমি মাফিয়াদের একটা চক্র সক্রিয় রয়েছে। তাতে শাসকদলের প্রত্যক্ষ মদত রয়েছে। পুলিশও কিছু করে না।” শঙ্করবাবুর অভিযোগ, মাটিগাড়া এলাকায় রেশন সরবরাহ ব্যবস্থা যুক্ত এক ব্যবসায়ী প্রকাশ্যে শাসক দলের প্রভাবশালী কয়েকজনের সঙ্গে লেনদেন থাকার কথা বলে বেড়াচ্ছেন। শিলিগুড়ির একা প্রাক্তন কাউন্সিলরের মাটিগাড়ায় জমির লেনদেনে যুক্ত থাকার অভিযোগ নিয়েও তদন্তের দাবি করেছেন শঙ্করবাবু। তিনি বলেন, “পরিবহণ দফতরের সঙ্গে যুক্ত এক নেতা মাটিগাড়ায় গিয়ে পাঁচিল তোলা বাবদও টাকা নিচ্ছেন বলে অভিযোগ শুনছি। এ সব কী হচ্ছে?”
কংগ্রেসের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। দলের জেলা কমিটির সদস্য কৃষ্ণ পাল কংগ্রেসের বিরুদ্ধেই পাল্টা তোলাবাজির অভিযোগ করেন। কৃষ্ণবাবু বলেন, “কংগ্রেস দেশজুড়ে তোলাবাজি করে। দেশের অধিকাংশ কেলেঙ্কারি’র সঙ্গে কংগ্রেস যুক্ত। তাঁদের মুখে এসব মানায় না। মাটিগাড়াতেও কংগ্রেসেরই জমি মাফিয়া রয়েছে।”
এদিন সম্মেলনে জঙ্গিপুরের সাংসদ অভিজিত্বাবু দলের সংগঠন বাড়ানোর দিকে নজর দেওয়ার পরামর্শ দেন। সম্মেলনে কয়েকজন প্রবীণ কংগ্রেস নেতাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। অভিজিত্বাবু বলেন, “দলীয় কর্মীদের আরও বেশি করে প্রবীণ, স্বাধীনতা সংগ্রামীদের কাছে গিয়ে তাঁদের কাছে টেনে নিতে হবে।।”
সভায় হিমুলকে বাঁচাতে সাংসদকে স্মারকলিপি দেন আইএনটিইউসি সমর্থিত হিমূল এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা। অভিজিতবাবু এই বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্র সরকারের সঙ্গে কথা বলবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। অনুষ্ঠানে ভাওয়াইয়া গানের মাধ্যমে তৃণমূলের অপশাসনের চিত্র তুলে ধরেন বিধায়ক-গায়ক সুখবিলাসবাবু। কেশববাবু আগাগোড়া রাজবংশী ভাষায় বক্তব্য দলের কর্মীদের হাতকালি কুড়োন।