গত প্রায় চার দশক ধরে সিপিএমের দখলে থাকা ডাবগ্রাম ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত নিজেদের দখলে নিল তৃণমূল কংগ্রেস। সম্প্রতি সিপিএমের চারজন সদস্য তৃণমূলে যোগ দান করলে প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন তারা। সোমবার অনাস্থার তলবি সভায় ৬-৩ ভোটে জেতে তৃণমূল। গ্রাম পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১০ আসনের ওই গ্রাম পঞ্চায়েত ৮-২ আসনে জেতে সিপিএম। একেই রাজ্যে তৃণমূলের হাওয়া। তার মধ্যে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবের নির্বাচনী এলাকা ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভার মধ্যে পড়ে ওই গ্রাম পঞ্চায়েতটি। গ্রাম পঞ্চায়েত না জিততে পারার জন্য দলে এবং দলের বাইরে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। তা ছাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গোলমালের ঘটনাঘটে। সিপিএম এবং তৃণমূল একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে। এ বার তা হাতছাড়া হওয়ায় তাঁদের সদস্যদের নিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত জবরদখলের অভিযোগ তুলেছে সিপিএম। ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি ব্লক তৃণমূলের সভাপতি দেবাশিস প্রামাণিক বলেন, “দীর্ঘ ৩৭ বছর সিপিএমের দখলে থাকা ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে আমরা ক্ষমতায় আসতে পেরে খুশি। জবর দখলের প্রশ্নই নেই। কেন না ওই সদস্যরা মুখ্যমন্ত্রী এবং উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীর কাজে উদ্বুদ্ধ হয়ে স্বেচ্ছায় দলে সামিল হয়েছেন।”
গ্রাম পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন তলবি সভাকে ঘিরে এলাকায় উত্তেজনা ছিল। লোকসভা নির্বাচনের পর ২ জন সদস্য সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। তাঁদের মধ্যে উপপ্রধানও ছিলেন। মাসখানেক আগে আরও ২ জন সদস্য সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে সামিল হন। দিন ১৫ আগে প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন ৬ জন তৃণমূল সদস্য। এ দিন তারই তলবি সভা হয়। সিপিএমের ৪ সদস্যের মধ্যে ১ জন উপস্থিত ছিলেন না। সিপিএমের দাবি, তাদের দলের সদস্যদের নানা ভাবে প্রভাবিত করে দলে টানা হয়েছে। প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য বলেন, “জবর দখল করেই তৃণমূল ওই গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করেছে। এ ভাবে তারা কতদিন চলাবেন?”