টাইগার হিলে হালকা তুষারপাত

সান্দাকফুতে আগেই পড়েছিল, এ বার দার্জিলিঙের টাইগার হিলে তুষারপাত হল। রবিবার ভোরে টাইগার হিলে তুষারপাত হয়। তবে প্রায় দেড় ঘণ্টায় দফায় দফায় হালকা বরফ পড়েছে। এতে এলাকায় খুব এলাকা বরফ জমতে পারেনি। সূর্যোদয় দেখতে গিয়ে মরশুমের প্রথম বরফ পড়াকে সাত সকালে উপভোগ করেছেন পর্যটকেরা। অনেককে হালকা বরফের আস্তরণে গড়াগড়ি খেতে এমনকী, ছোড়াছুড়ি করতেও দেখা গিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দার্জিলিং শেষ আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০১:২২
Share:

সান্দাকফুতে আগেই পড়েছিল, এ বার দার্জিলিঙের টাইগার হিলে তুষারপাত হল। রবিবার ভোরে টাইগার হিলে তুষারপাত হয়। তবে প্রায় দেড় ঘণ্টায় দফায় দফায় হালকা বরফ পড়েছে। এতে এলাকায় খুব এলাকা বরফ জমতে পারেনি। সূর্যোদয় দেখতে গিয়ে মরশুমের প্রথম বরফ পড়াকে সাত সকালে উপভোগ করেছেন পর্যটকেরা। অনেককে হালকা বরফের আস্তরণে গড়াগড়ি খেতে এমনকী, ছোড়াছুড়ি করতেও দেখা গিয়েছে।

Advertisement

টাইগার হিল প্যাভিলিয়ন ম্যানেজার প্রদীপ লামা জানান, ভোর চারটা নাগাদ মরসুমের বরফ পড়া শুরু হয়। দফায় দফায় তা সাড়ে ৫ টা অবধি চলে। তবে খুব হালকা বরফ পড়েছে। ভোরে সূর্যোদয় দেখতে এ দিন প্রায় ৮০০ পর্যটক ছিলেন। সকলে খুব উপভোগ করেছেন।

টাইগার হিল দার্জিলিং শহর থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে। এর উচ্চতা প্রায় ২৫৬০ মিটার। দীর্ঘদিন ধরেই সূর্যোদয় দেখার জন্য টাইগার দেশ বিদেশের পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত পরিচিত গন্তব্য। এদিন টাইগার হিলের তাপমাত্রা একসময় শূন্যের থেকে ২ ডিগ্রি নিচেও নেমে যায়। পরবর্তীতে তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রির আশেপাশে ঘোরাফেরা করেছে। প্রদীপবাবু জানান, এদিন সূর্যোদয় পর্যটকেরা দেখেচেন। বাড়তি পাওনা ছিল তুষারপাত। অনেকে এলাকা ছেড়ে যেতেই চাচ্ছিলেন না।

Advertisement

গত বছর ১৬ ফেব্রুয়ারি টাইগার হিলে বরফ পড়েছিল। সেবার ২ ইঞ্চি পুরু বরফ জমে যায়। এ বারও ফেব্রুয়ারির প্রায় একসই সময়ই তুষারপাত হল। শৈলশহর থেকে ৬১ কিলোমিটার দূরে সান্দাফুতে শীতের মরশুমে কয়েক দফায় বরফ পড়েছে। দার্জিলিং শহরে অবশ্য ২০০৮ সালের পর বরফ পড়েনি। সেবার ২৬ জানুয়ারি ভোর থেকে ম্যাল চৌরাস্তা, ঘুম-সহ সর্বত্র সাদা বরফের চাদরে মুড়ে গিয়েছিল। তার পর থেকে অবশ্য প্রতিবারই টাইগার হিল এবং সান্দাফুতে বরফ পড়েছে। এবারও তার ব্যক্তিক্রম হল না। এদিন দার্জিলিং শহরের তাপমাত্র ছিল ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মত।

সান্দাফুতে গত দুই দিন ধরে বরফ পড়া চলছেই। কিন্তু এদিন সেখান থেকে কোনও তুষারপাতের খবর মেলেনি। এ বছরের ৮ জানুয়ারিতে সান্দাফুতে প্রায় ৬ ইঞ্চি পুরু বরফ পড়ে। এলাকার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ফেডারেশন অব সোসাইটি ফর এনভারনমেন্ট প্রোটেকশনের সম্পাদক ভরত প্রকাশ রাই জানান, গত দুইদিনের পর এদিনই বরফ পড়েনি। তবে গত দুইদিন ৩ ইঞ্চি বরফ জমে। তা এখনও এদিন অনেক জায়গাতেই দেখা গিয়েছে। শূন্যের নিচেই তাপমাত্রা থাকছে।

পুড়ল বাড়ি। একটি বাড়িতে আগুন লেগে পুড়ে গেল দ্বিতল বাড়ির একটি অংশ। ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ির খালপাড়া এলাকায়। দমকেলর দুটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে যায়। দমকল আধিকারিকদের ধারণা, শর্ট সার্কিটের ফলেই আগুন লাগতে পারে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement