জমিদাতাদের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে লিখিত আর্জি করতে পরামর্শ

রায়গঞ্জে এইমসের ধাঁচে হাসপাতাল তৈরির জন্য ইচ্ছুক জমির মালিকদের দিয়ে লিখিতভাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন করার পরামর্শ দিলেন উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অমল আচার্য। বৃহস্পতিবার অমলবাবু রায়গঞ্জ এইমস রূপায়ণ নাগরিক মঞ্চের কর্তাদের ওই পরামর্শ দিয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০১৪ ০১:৪৭
Share:

রায়গঞ্জে এইমসের ধাঁচে হাসপাতাল তৈরির জন্য ইচ্ছুক জমির মালিকদের দিয়ে লিখিতভাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন করার পরামর্শ দিলেন উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অমল আচার্য। বৃহস্পতিবার অমলবাবু রায়গঞ্জ এইমস রূপায়ণ নাগরিক মঞ্চের কর্তাদের ওই পরামর্শ দিয়েছেন। অমলবাবু বলেন, “দীর্ঘদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, চাষিরা স্বেচ্ছায় জমি দিতে চেয়ে লিখিতভাবে আবেদন করলে তিনি উপযুক্ত পদক্ষেপ করবেন। সেই কারণেই, মঞ্চের কর্তাদের চাষিদের দিয়ে জেলাশাসকের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে লিখিতভাবে জমি অধিগ্রহণ করার আবেদন জানানোর পরামর্শ দিয়েছি।”

Advertisement

উল্লেখ্য, পশ্চিম দিনাজপুর চেম্বার অব কমার্সের উদ্যোগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে নিয়ে গঠিত রায়গঞ্জ এইমস নাগরিক রূপায়ণ মঞ্চ গত একমাস ধরে রায়গঞ্জে টানা পথসভা, বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান বিক্ষোভ করছে। বুধবার দিনভর মঞ্চের তরফে রায়গঞ্জের সুপার মার্কেট এলাকায় গণ অবস্থান করা হয়। ওই অবস্থানে কংগ্রেস, সিপিএম, বিজেপি, এসইউসি সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরফে প্রতিনিধিরা সামিল হলেও তৃণমূলের তরফে কেউ হাজির হননি। যদিও অবস্থানের পর মঞ্চের তরফে দাবি করা হয়েছিল, তৃণমূলের দুই প্রতিনিধি অবস্থানে ছিলেন। রায়গঞ্জ শহর তৃণমূল সভাপতি তথা কাউন্সিলর প্রিয়তোষ মুখোপাধ্যায় বলেন, “দল নির্দেশ না দেওয়ায় আমরা মঞ্চের ডাকা গণ অবস্থানে সামিল হইনি। যা বলা হয়েছে তা ঠিক নয়।” আর দলের জেলা সভাপতি অমলবাবুর দাবি, “তৃণমূল রায়গঞ্জে এইমসের ধাঁচে হাসপাতাল তৈরির বিরোধী নয়। তবে প্রতিদিন শহরের রাস্তায় আন্দোলন হলে বাসিন্দাদের সমস্যা হয়। সেকথা মাথায় রেখেই ওইদিন দলের কেউ গণ অবস্থানে সামিল হননি।”

মঞ্চের আহ্বায়ক জয়ন্ত সোম জানান, অবস্থানে তৃণমূলও ছিল বলে প্রথমে মনে হয়। পরে জানতে পারি যে ওঁরা আসেননি। তিনি বলেন, “অমলবাবুর পরামর্শ মেনে খুব শীঘ্রই পানিশালা এলাকার চাষিদের দিয়ে লিখিতভাবে জেলাশাসকের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জমি অধিগ্রহণ করার আবেদন পাঠানো হবে।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement