চুরিতে গ্রেফতার পাঁচ

বহুজাতিক সংস্থার অফিস থেকে আলমারি ভেঙে ২১ লক্ষ টাকা চুরির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক মহিলা অফিসার সহ ওই সংস্থারই পাঁচ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। শুক্রবার রাতে শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে পুলিশ তাঁদের ধরেছে। বৃহস্পতিবার রাতে শিলিগুড়ির মিলনপল্লির মুকুন্দ দাস রোডে চুরির ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম নির্মল সরকার, মকবুল হোসেন, মধুরিমা চৌধুরী, প্রশান্ত ঘোষ ও দেবাশিস সরকার। সাহুডাঙ্গির বাসিন্দা নির্মল সংস্থার সেলস এক্সিকিউটিভ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০১৪ ০১:০৪
Share:

বহুজাতিক সংস্থার অফিস থেকে আলমারি ভেঙে ২১ লক্ষ টাকা চুরির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক মহিলা অফিসার সহ ওই সংস্থারই পাঁচ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। শুক্রবার রাতে শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে পুলিশ তাঁদের ধরেছে। বৃহস্পতিবার রাতে শিলিগুড়ির মিলনপল্লির মুকুন্দ দাস রোডে চুরির ঘটনাটি ঘটে।

Advertisement

পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম নির্মল সরকার, মকবুল হোসেন, মধুরিমা চৌধুরী, প্রশান্ত ঘোষ ও দেবাশিস সরকার। সাহুডাঙ্গির বাসিন্দা নির্মল সংস্থার সেলস এক্সিকিউটিভ। তিনি ঘটনার মূল পাণ্ডা বলে পুলিশের সন্দেহ। রাজগঞ্জের মকবুল ওই অফিসের নিরাপত্তা রক্ষী। দেবাশিস সহকারী হিসাব রক্ষক। ডাবগ্রামের প্রশান্ত সংস্থার শিলিগুড়ি শাখার ম্যানেজার ও স্টেশন ফিডার রোডের মধুরিমা চৌধুরী অফিস এক্সিকিউটিভ। পুলিশের সন্দেহ, ধৃতরা সকলে ষড়যন্ত্রে যুক্ত বলে নির্মল ও মকবুল জেরার মুখে দাবি করেছে। শনিবার সকালে ধৃতদের আদালতে পাঠানো হলে ৪ দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার জগমোহন বলেন, “ধৃতদের কাছ থেকে ১০ লক্ষ ২৭ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি টাকা কোথায় রাখা হয়েছে বা তা ভাগ হয়েছে কি না তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।” নির্মলকে জেরা করেই বাকিদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

পুলিশের দাবি, সে দিন নির্মল মাথা ব্যথার অজুহাতে অফিসের শৌচাগারে গিয়ে লুকিয়ে ছিলেন। দেবাশিস সকলকে বার করে দিয়ে অফিসে তালা দেন। শাখার প্রধান হিসাব রক্ষক জাকির হুসেন অফিসে কেউ নেই ভেবে তালা দিতে বলে চলে যান। বেশি রাতে নির্মল আলমারি ভেঙে টাকা চুরি করে জানালা দিয়ে দড়ি ঝুলিয়ে বারান্দায় নামেন। ওই কাজে মকবুল মদত দিয়েছেন বলে দাবি পুলিশের। দড়ি পিছলে নির্মল পড়ে গেলে তাঁর পা ভেঙে যায়।

Advertisement

পুলিশ জানতে পেরেছে দেবাশিস অফিসে ফিরে গিয়ে তার বাইকে বসিয়ে নির্মলকে বাড়িতে দিয়ে আসে। মকবুলকে মুখ না খোলার জন্য দশ হাজার টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। ভোরে বাড়ি পৌঁছে সে বাইক দুর্ঘটনার ফলে ওই ঘটনা ঘটেছে জানিয়ে হাসপাতালে যায়। শুক্রবার নির্মল অফিসে অনুপস্থিত থাকায় পুলিশের সন্দেহ হয়। তার পরেই লাগাতার জেরা করা হয়। নির্মলের কথা অনুযায়ী, দেবাশিসের সঙ্গে বাড়িভাসায় তার শ্বশুরের কাছে গিয়ে টাকার ব্যাগ রেখে আসা হয়েছিল। এদিন পুলিশ সেটি উদ্ধার করে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement