কোচবিহারে আক্রান্ত বিজেপি

কোচবিহারের দেওয়ানহাটে স্বচ্ছ ভারত অভিযানে যোগ দেওয়ার পথে বিজেপির সমর্থকদের উপর হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। দলের অন্তত পাঁচ সমর্থক জখম হয়েছেন বলে বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজন কোচবিহার জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুরো ঘটনাটিই সাজানো বলে পাল্টা দাবি তৃণমূলের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০১৪ ০০:৫২
Share:

কোচবিহারের দেওয়ানহাটে স্বচ্ছ ভারত অভিযানে যোগ দেওয়ার পথে বিজেপির সমর্থকদের উপর হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। দলের অন্তত পাঁচ সমর্থক জখম হয়েছেন বলে বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজন কোচবিহার জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুরো ঘটনাটিই সাজানো বলে পাল্টা দাবি তৃণমূলের।

Advertisement

কেন্দ্রের স্বচ্ছ ভারত অভিযান প্রকল্পকে কেন্দ্র করে শনিবার সকালে গোলমালের সূত্রপাত। দেওয়ানহাট বাজারে কর্মসূচি অনুযায়ী সাফাই অভিযান করার পরিককল্পনা নিয়েছিল জেলা বিজেপি। দেওয়ানহাট বাজার লাগোয়া এলাকায় সমর্থকদের জড়ো হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। পশ্চিম দেওয়ানহাটের বাসিন্দা মুরারী বর্মন নামে এক বিজেপি সমর্থককে কর্মসূচিতে যোগ দিতে আসার পথে তৃণমূল কর্মীরা মারধর করে বলে অভিযোগ। মুরারীবাবুর নাক দিয়ে রক্ত পড়তে শুরু করে। এ ছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় বিজেপি সমর্থকদের দেওয়ানহাট বাজারে আসতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। অশান্তির জেরে সকাল আট’টার বদলে দুপুর ১২টায় ওই সাফাই অভিযান হয়।

বিজেপির কোচবিহার জেলা সম্পাদক নিখিলরঞ্জন দে বলেন, “পরিকল্পিতভাবে সাফাই অভিযান ভেস্তে দিতে বিভিন্ন রাস্তায় সমর্থকদের বাধা দেয় ও মারধর করে তৃণমূল সমর্থকরা। মুরারীবাবু সহ অন্তত পাঁচজন জখম হয়েছেন।” এই ঘটনায় চার তৃণমূল সমর্থকের নামে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছে বিজেপি। তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ পাল্টা দাবি করেন, “ আমাদের সমর্থকদের সঙ্গে বিজেপির কোনও গোলমাল হয়নি। প্রচারের উদ্দেশে সব কিছু সাজানো হচ্ছে।” কোচবিহারের পুলিশ সুপার রাজেশ যাদব বলেন,“বিশদে খোঁজ নিচ্ছি। অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে।”

Advertisement

এ দিনই দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে কোচবিহারে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ। বিকালে চ্যাংরাবান্ধা ট্রাক টার্মিনাস লাগোয়া ময়দানে একটি জনসভায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি অভিযোগ করেন, “রাজ্য সরকার বেকারদের কর্মসংস্থানের বিষয়ে উদাসীন। ফলে বেকার যুবক-যুবতীদের ভবিষ্যত বলে এখন কিছু নেই।” ওই প্রসঙ্গেই বিজেপির রাজ্য সভাপতির কটাক্ষ, “অন্য কোন শিল্প হচ্ছে না, বলে বোমা শিল্প বাড়ছে।” রাহুলবাবুর দাবি, এলাকার অন্তত ৩ হাজার কর্মীসমর্থক তৃণমূল ছেড়ে এ দিন বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তৃণমূলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “আমাদের একজনও বিজেপিতে যাননি।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement