সত্যরঞ্জন দাশমুন্সিকে প্রার্থী করে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাশমুন্সি পরিবারে ভাঙন ধরাতে পারলেও উত্তর দিনাজপুর জেলায় কংগ্রেসে ভাঙন ধরাতে পারবেন বলে জানিয়ে দিলেন রায়গঞ্জের কংগ্রেস প্রার্থী দীপা দাশমুন্সি। বুধবার বিকেলে হেমতাবাদের শালবাগান এলাকায় একটি নির্বাচনী কর্মিসভায় যোগ দিয়ে এক জানান দীপাদেবী। এ বার এই কেন্দ্রেই তৃণমূল প্রার্থী হয়েছেন সত্যরঞ্জনবাবু। দীপাদেবী বলেন, “তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনৈতিক স্বার্থে দেওরকে আমার বিরুদ্ধে প্রার্থী করে দাশমুন্সি পরিবারে ভাঙন ধরাতে পারলেও জেলায় কংগ্রেসে ভাঙন ধরাতে পারবেন না। পরিবর্তনের বাজারেও জেলার মানুষ কংগ্রেসের পাশেই থাকবেন।”
দীপাদেবীর ওই কর্মিসভার শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই হেমতাবাদের বিষ্ণুপুর এলাকায় তৃণমূল প্রার্থী সত্যরঞ্জনবাবুর সমর্থনেও একটি নির্বাচনী কর্মিসভা হয়। দীপাদেবীর বক্তব্য শোনার পর কর্মিসভায় ইসলামপুরের তৃণমূল বিধায়ক আবদুল করিম চৌধুরী বলেন, “প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির স্ত্রী দীপাদেবী সাংসদ হিসেবে গত পাঁচ বছরে জেলার সার্বিক উন্নয়ন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। যা সত্যরঞ্জনবাবু মেনে নিতে পারেননি। তাই তিনি আজ তৃণমূলে।”
করিমবাবুর বক্তব্য, “জেলার করণদিঘি, চাকুলিয়া, গোয়ালপোখর ও ইসলামপুর ব্লকের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা দীপাদেবীকে দেখেই মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছেন। আপনারাও তাই করবেন। জনসমর্থন তলানিতে ঠেকেছে বুঝতে পেরেই দীপাদেবীর মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। তিনি শুধু রাজ্য এবং তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে কুত্সা ছাড়া কিছুই করেননি।”
দীপাদেবীর অবশ্য পাল্টা অভিযোগ, তৃণমূল নেত্রী রাজনৈতিক স্বার্থে রায়গঞ্জে এইমসের ধাঁচে হাসপাতাল তৈরির জন্য জমি অধিগ্রহণ না করে জেলার উন্নয়নই থমকে দিয়েছেন। তাঁর দাবি, তাই কংগ্রেস নয়, তৃণমূলের নেতানেত্রীদের দেখেই জেলার মানুষ মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছেন। তাঁর কথায়, “রাজ্যের উন্নয়নের স্বার্থে কোনও সর্বদল বৈঠক ছাড়াও কংগ্রেসের সাংসদ বা বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকও করেননি। আমি রাজ্য সরকারের সবসময় গঠনমূলক সমালোচনা করেছি। কংগ্রেস ব্যক্তিগত আক্রমণ করতে শেখায় না। অথচ তৃণমূল নেতারা যা বলছেন তা ভাষা সন্ত্রাস ও অসৌজন্যতার সামিল।”