বৃহস্পতিবার রাতে শিলিগুড়ি পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও মিঠুন চক্রবর্তী। বাগডোগরা বিমানবন্দরে তোলা নিজস্ব চিত্র।
নরেন্দ্র মোদী শিলিগুড়িতে সভা করে ফিরে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই উত্তরবঙ্গে পৌঁছলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরবঙ্গের প্রথম দফার ভোটের আর এক সপ্তাহও বাকি নেই। প্রচারের শেষ পর্বে দার্জিলিং, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি এবং উত্তর দিনাজপুরে সভা করবেন তিনি। ১৪ এপ্রিল মুখ্যমন্ত্রীর কলকাতা ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে। দ্বিতীয় দফার ভোটের জন্য ফের আগামী ১৬ এপ্রিল তাঁর দক্ষিণ দিনাজপুরে আসার কথা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিশেষ বিমানে সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ বাগডোগরায় পৌঁছন মমতা। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায় এবং রাজ্যসভার সাংসদ অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। মিঠুনকে নিয়ে মুকুলবাবু আলিপুরদুয়ারে চলে গেলেও মুখ্যমন্ত্রী শিলিগুড়িতেই রয়েছেন। হেলিকপ্টারে চেপে উত্তরবঙ্গের চার জেলায় প্রচার চালানোর কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। আগামী রবিবার দুপুরে দার্জিলিঙের চৌরাস্তায় ভাইচুং ভুটিয়াকে পাশে নিয়ে সভা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আজ, শুক্রবার উত্তর দিনাজপুরে তিনটে সভা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। দুপুর পৌনে ১২টা নাগাদ হেলিকপ্টারে করে করণদিঘি ব্লকের রসখোয়া কলোনি পাড়ায় নামবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে রসখোয়া হাইস্কুল মাঠে রায়গঞ্জের তৃণমূল প্রার্থী পবিত্ররঞ্জন তথা সত্যরঞ্জন দাশমুন্সির সমর্থনে জনসভা করবেন তিনি। এর পরে দুপুর দু’টো নাগাদ ইসলামপুর কোর্ট মাঠে মুখ্যমন্ত্রীর কপ্টার পৌঁছবে। হাইস্কুল মাঠে পবিত্রবাবুর সমর্থনে আর একটি সভা করে চোপড়া পৌঁছে তৃণমূল প্রার্থী ভাইচুং ভুটিয়ার সমর্থনে সভা করার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। চোপড়া ব্লক উত্তর দিনাজপুর জেলায় হলেও, দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত।
কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে শনিবার মুখ্যমন্ত্রীর তিনটি সভা রয়েছে। জলপাইগুড়ি জেলায় তৃণমূলের পর্যবেক্ষক সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, “শুক্রবার রাতেও মুখ্যমন্ত্রী আলিপুরদুয়ারে পৌঁছতে পারেন।”
মুখ্যমন্ত্রীর আসার মুখে এ দিন সমতলে নরেন্দ্র মোদীর সভার দিনই পাহাড়ে দু’টি এলাকায় আলাদা ভাবে সভা করে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার ওপর চাপ বাড়ানোর চেষ্টা করল জিএনএলএফ এবং লেপচারা। কালিম্পং স্টেডিয়াম তথা মেলার মাঠে লেপচাদের সভায় তামাঙ্গ, মঙ্গরদের একাংশও উপস্থিত ছিলেন। সভায় ভিড় দেখে আশাবাদী উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। এ দিন ওই সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে নিজেদের সম্প্রদায়ের বাসিন্দাদের তৃণমূল প্রার্থী ভাইচুংকে ‘খুশি মনে’ ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান বিভিন্ন সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা। সেই সঙ্গে জিএনএলএফের তরফেও তৃণমূলের সমর্থনে প্রচারে নামায় পাহাড় নিয়ে তাদের প্রত্যাশা বেড়েছে।