শিলিগুড়িতে দলীয় বৈঠকে দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়া। —নিজস্ব চিত্র।
উত্তরবঙ্গে এইমস (অল ইন্ডিয়া মেডিকেল সায়েন্স) এর শাখা খোলার দাবিতে শীঘ্রই বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে চলেছে বিজেপি। শুক্রবার শিলিগুড়ির খালপাড়ায় দার্জিলিং জেলা বিজেপির কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে এসে এ কথা জানান বিজেপির সহ সভাপতি তথা দার্জিলিংয়ের সাংসদ সুরিন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়া। এ বিষয়ে আগামী ৭ সেপ্টেম্বর ফরওয়ার্ড ব্লকের ডাকে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে সর্বদলীয় বৈঠকেও তিনি যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে আগামী ২০১৫ এর মধ্যেই শিলিগুড়িতে পূর্ণাঙ্গ পাসপোর্ট সেবাকেন্দ্র চালু করার ব্যপারে কেন্দ্রের সবুজ সঙ্কেত মিলেছে বলেও এদিন জানিয়েছেন তিনি। এদিন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিজেপির সভাপতি রথীন বসু, সম্পাদক নন্দন দাস প্রমুখ। রাজ্য সরকার স্বাস্থ্য নিয়েও কোনও সঠিক পদক্ষেপ নিতে পারছে না বলেও বিজেপি সাংসদের মত। কংগ্রেসের উত্তরকন্যা অভিযান নিয়েও কটাক্ষ করেন তিনি। এদিন বৈঠকে অবশ্য বিজেপির জেলা কমিটির মধ্যে সাযুজ্যের অভাব রয়েছে বলে দলীয় কর্মীরা অসন্তোষ প্রকাশ করেন। যদিও বিজেপি নেতৃত্ব কোনও রকম সমন্বয়ের অভাব রয়েছে বলে মনে করছেন না।
এদিন বিজেপির সহ সভাপতি বলেন, “রাজ্যের যে কোনও জায়গায় এইমস করা যেতে পারে। তবে তা উত্তরবঙ্গবাসীকে বঞ্চিত করে নয়। উত্তরবঙ্গে এইমস অবশ্যই হওয়া উচিত। সে বিষয়ে বিজেপি শীঘ্রই আন্দোলনে নামবে।” তবে রায়গঞ্জেই এইমস হবে কিনা তা অবশ্য তিনি জোর দিয়ে বলছেন না। তিনি দাবি করেন, “সমস্ত সুযোগ সুবিধা ও জমি খতিয়ে দেখে উত্তরবঙ্গের যে কোনও উপযুক্ত জায়গায় এইমস করা যেতে পারে।”
এর আগে শিলিগুড়িতে পাসপোর্টের আবেদন জমা নেওয়ার অফিসটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল দু বছর আগে। তখনই বলা হয়েছিল পূর্ণাঙ্গ পাসপোর্ট সেবাকেন্দ্র চালু করা হবে। কিন্তু তা গত দু’বছরে চালু করা সম্ভব হয়নি। তিনি বলেন, “তা দ্রুত চালু করার ব্যপারে বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে কথা হয়েছে। শীতকালীন অধিবেশনের মধ্যেই তা চালু করার কথা রয়েছে। কোনও কারণে তা সম্ভব না হলে বাজেট অধিবেশনের আগেই পুরো প্রক্রিয়া সেরে ফেলা হবে।”
এদিন বিজেপির জেলা কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক ছিল। দলের নিচু স্তরের কর্মীরা গুরুত্ব পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেন দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে। এমনকী দলের জেলা কমিটিরও নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের অভাব দেখা দিচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে। শিলিগুড়িতে দুটি নির্বাচন হওয়ার কথা। শিলিগুড়ি পুরসভা এবং শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ নির্বাচন। তার জন্য এখন থেকে প্রার্থী বাছাই করে প্রচর শুরু করার দাবিও জানান তাঁরা। যদিও সমন্বয়ের অভাব রয়েছে বলে স্বীকার করেননি বিজেপি সাংসদ। তিনি পাল্টা দাবি করেন, “সমন্বয়ের অভাব থাকলে বিজেপি এই লোকসভা কেন্দ্রে বিপুল ভোটে জয়ী হত না।” প্রশ্ন ওঠে জন ধন যোজনা নিয়েও। অনেকেই বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্ত বলেল জানান। বিজেপির জেলা কার্যকরী কমিটির সম্পাদক সুবীর পাল চৌধুরী বিষয়টি পরিস্কার করে দিলেও তাতেও বিভ্রান্তি কাটেনি। এদিন বিজেপির পক্ষ থেকেও এনসেফ্যালাইটিসে মৃতদের ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়।