শনিবার গ্রামে গ্রামে সভা করেন অর্পিতা ঘোষ। তরুণ দেবনাথের তোলা ছবি।
লোকসভা নির্বাচনের আগে, ‘বহিরাগত’ প্রার্থী অর্পিতা ঘোষকে এলাকায় দেখা যাবে তো? প্রশ্ন তুলেছিলেন দলীয় কর্মীরাই। নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে একাধিকবার ইটাহারেও সে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। দলীয় কর্মীদের ভরসা জোগাতে অর্পিতা তাঁদের আশ্বাস দিয়েছিলেন, নিয়মিত এলাকায় থাকবেন বলে।
সাংসদ হওয়ার পরে ইটাহার শহরে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করলেও আশপাশের এলাকায় যাননি বলে অভিযোগ দলের কর্মীদের। ফলে দানা বাঁধছিল ক্ষোভ। তৃণমূলের উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি অমল আচার্যের মাধ্যমে ক্ষোভের আঁচ পৌঁছে ছিল কলকাতায়। দলীয় সূত্রের খবর, পরিস্থিতি সামাল দিতে তাই প্রকাশ্যেই তাই ক্ষমা চাইতে হল দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের সাংসদ তথা নাট্যকর্মী অর্পিতা ঘোষকে।
শনিবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অর্পিতা উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার বিধানসভার সাতটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৪টি গ্রামে প্রায় ১৫ মিনিট করে সংক্ষিপ্ত সভা করেন। সর্বত্রই তিনি বলেন, “আমি অসুস্থ ছিলাম। তা ছাড়া সংসদের বিভিন্ন কাজেও ব্যস্ত ছিলাম। সেই কারণে, ভোটে জেতার পর আপনাদের কাছে আসতে পারিনি। তাই আপনাদের কাছে আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। এ দিন স্থানীয় বাসিন্দাদের তিনি বলেন, “এলাকার কোনও সমস্যা থাকলে দলের উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতিকে জানান। কথা দিচ্ছি প্রতিবছর সাংসদ তহবিলের টাকায় যতটা সম্ভব উন্নয়ন করার চেষ্টা করব।”
গত এপ্রিলে ইটাহারের বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়ে ছিলেন অর্পিতা। ভোটে জিতলে এলাকায় থাকবেন কি না দলের সভাতেও সেই প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। এ দিন অবশ্য সে সমস্যা হয়।নি তাঁর। এ ব্যাপারে অমলবাবু বলেন, “নাট্যকর্মী হওয়ায় অর্পিতা খুব জনপ্রিয়। সাংসদকে কাছে পাওয়ার প্রত্যাশা সবসময়েই সবার থাকে। এখন থেকে বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত দক্ষিণ দিনাজপুরের ছ’টি বিধানসভা ও উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার বিধানসভায় তিনি নিয়মিত আসবেন।”
ধর্ষণে ধৃত যুবক। এক বধূকে ভুটানের ফুন্টশেলিং শহরের হোটেলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে তিন যুবকের বিরুদ্ধে। ধূপগুড়ির মাগুরমারির ওই বধূর অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে পুলিশ রণজিত্ রায় নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে। জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে বধূর ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়। বধূর অভিযোগ, মঙ্গলবার সকালে ধূপগুড়ি বাজারে গেলে ধৃত যুবক ও তাঁর এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা হয়। যুবকের দেওয়া পান খেয়ে তিনি অসুস্থ হয়ে জ্ঞান হারান। ফুন্টশেলিং শহরের হোটেলে নিয়ে তিনজন ধর্ষণ করে। বৃহস্পতিবার তাঁকে ময়নাগুড়িতে ছেড়ে দিয়ে তারা পালিয়ে যায়।