অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা, পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ তুলে কোচবিহার পুর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিল বাম কাউন্সিলরা। বৃহস্পতিবার সিপিএমের জেলা পার্টি অফিসে সাংবাদিক বৈঠক করে ওই কথা জানান বিরোধী দলনেতা জেলা সিপিএমের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মহানন্দ সাহা। তিনি জানান, আমরা পুরসভার সব স্ট্যান্ডিং কমিটি থেকে পদত্যাগ করব। মহকুমাশাসকের অফিসে অবস্থানে বসবে কাউন্সিলররা। পাশাপাশি শহরে গণস্বাক্ষর সংগ্রহের অভিযান চালানো হবে। মহানন্দবাবু বলেন, “বাম কাউন্সিলরদের গুরুত্ব দিচ্ছেন না চেয়ারম্যান। কাউন্সিলরদের ওয়ার্ডে উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে না। বোর্ড মিটিঙে কিছু জানতে চাওয়া হলে উনি খারাপ ব্যবহার করেন। এই অবস্থায় আন্দোলন ছাড়া পথ নেই।”
পুরসভার চেয়ারম্যান বীরেন কুণ্ডু বামেদের অভিযোগ মানতে নারাজ। তিনি বলেন, “সব ওয়ার্ডকে সমান গুরুত্ব দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে বাম কাউন্সিলরদের ওয়ার্ডে বেশি কাজ হয়েছে। ভিত্তিহীন কিছু অভিযোগ তুলছেন বামেরা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে রাজনীতি করছেন।” পুরসভা সূত্রের খবর, গত বুধবার কোচবিহার পুরসভায় বোর্ড মিটিং হয়। সেখানে কিছু বিষয় নিয়ে বিরোধী দলনেতার সঙ্গে চেয়ারম্যানের বাদানুবাদ হয়। পাঁচ বাম কাউন্সিলর ফব পার্টি অফিসে আলোচনায় বসে স্ট্যান্ডিং কমিটি থেকে পদত্যাগসহ আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নেন। শনিবার শহর বামফ্রন্টের বৈঠক রয়েছে। সেখানে অনুমতি মিললে আন্দোলন শুরু হবে। মহানন্দবাবুর অভিযোগ, “জল প্রকল্পের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ৩২ কোটি টাকার অনুমোদন দেয়। তিন বছর আগে ৯ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়। এখনও কাজ হয়নি। পুরসভায় ৯৮ জন স্থায়ী কর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত হলেও বাম কাউন্সিলরদের অন্ধকারে রাখা হয়েছে। বামেদের পাঁচটি ওয়ার্ড ১, ৩, ১৩, ১৮ এবং ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে কোনও কাজ হচ্ছে না। সব ওয়ার্ডে ৩ লক্ষ টাকার কাজ করার সিদ্ধান্ত হলেও বামেদের ওয়ার্ডে হয়নি। শহর সম্প্রসারণের মতো বিষয়েও বোর্ড মিটিঙে জানানো হয়নি।