আদালতের নতুন ভবন নিয়ে সংশয়

শিলিগুড়ি আদালত চত্বরে নতুন আদালত ভবন তৈরি করা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। তা নিয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করল বার অ্যাসোসিয়েশন। বর্তমান জায়গাতেই নতুন ভবন হবে কি না তা নিয়ে অবশ্য এখনও কোনও সরকারি নির্দেশ আসেনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০১৫ ০২:৪০
Share:

আইনজীবীদের সঙ্গে বৈঠকে মন্ত্রী।

শিলিগুড়ি আদালত চত্বরে নতুন আদালত ভবন তৈরি করা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। তা নিয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করল বার অ্যাসোসিয়েশন।

Advertisement

বর্তমান জায়গাতেই নতুন ভবন হবে কি না তা নিয়ে অবশ্য এখনও কোনও সরকারি নির্দেশ আসেনি। হাইকোর্টের তরফেও লিখিতভাবে কোনও কিছু জানানো হয়নি। সমস্ত কিছুই মৌখিক আলোচনার ভিত্তিতে চলছে। মূলত মুহুরিরা যে জায়গায় বসেন সেটি সরানো না হলে ভবন তৈরি করা যাবে কি না তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। এই অবস্থায় উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেবের দ্বারস্থ হলেন শিলিগুড়ির বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা। বৃহস্পতিবার সংগঠনের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরে মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন।

পরে মন্ত্রী গৌতমবাবু বলেন, “নতুন ভবন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বর্তমান জায়গার পিছনে পূর্ত দফতরের কিছুটা জমি রয়েছে। মুহুরিদের জন্য আপাতত সেখানে বসার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। সমস্যা মিটে গেলে ভবন তৈরি করে দিতে রাজ্য সরকারের কোনও আপত্তি নেই।” তিনি জানান, কিছুদিনের মধ্যে সমস্ত পক্ষকে নিয়ে বৈঠক ডাকা হবে। ভবনের জন্য পূর্ত দফতর চার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল। মূল্যবৃদ্ধির কারণে তা কিছুটা বাড়তে পারে। বর্তমানে আদালতে যে জায়গায় মুহুরিরা বসেন, সেই জায়গাটি নিয়েই নতুন বড়মাপের ভবন হতে পারে বলে হাইকোর্ট থেকে জানানো হয়েছে বলে শুনেছি।

Advertisement

আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনার পর এদিন মুহুরিদের সংগঠনের পক্ষ থেকে একটি সভা ডাকা হয়। পরে অবশ্য সেই সভা হয়নি। শিলিগুড়ি আদালতের মুহুরি সংগঠনের সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় সরকার বলেন, “এদিন বিশেষ কারণে বৈঠক হয়নি। আগামী সপ্তাহে ফের বৈঠক ডাকা হবে। তারপরেই কোনও সিদ্ধান্ত হবে।”

আইনজীবীরা শিলিগুড়ি আদালতের বর্তমান চত্বর থেকে অন্য কোথাও আদালত সরানো হলে যাবেন না বলে দাবি করে আন্দোলনে নেমেছেন। সম্প্রতি দেড় মাসের বেশি সময় কর্মবিরতি পালন করেন শিলিগুড়ি আদালতের আইনজীবীরা। জানুয়ারি মাসের প্রথম দিকে আন্দোলনের প্রেক্ষিতে শিলিগুড়ি আদালত চত্বর ঘুরে যান হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুর। তিনি আসার পরই কর্মবিরতি তুলে নেওয়া হয়। গত ১৯ জানুয়ারি কলকাতায় ফের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করেন বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা। এর আগে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী অন্য জায়গায় আদালতের জমি দেখা হচ্ছে বলে জানানোয় ক্ষোভ দেখা দিয়েছিল আইনজীবীদের মধ্যে। পরে অবশ্য মন্ত্রী জানান, আইনজীবীরা না চাইলে আদালত স্থানান্তর হবে না হবে না। তার পরে নতুন ভবনের ফের কথাবার্তা শুরু হয়।

শিলিগুড়ি বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক চন্দন দে বলেন, “প্রধান বিচারপতির সঙ্গে কলকাতায় কথা হয়েছে। উনি আমাদের জানিয়ে দিয়েছেন, মুহুরিদের অন্যত্র না সরালে নতুন ভবন তৈরি সম্ভব নয়। এই বিষয়টি নিয়েই আমরা মন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছি। আশা করছি, কোনও সমাধানের পথ বার হয়ে আসবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement