এ বারও মালদহে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে অনলাইনের মাধ্যমে মনোনয়ন পত্র তোলা কিংবা জমা দেওয়া যাবে না। মঙ্গলবার তিন জেলার অধ্যক্ষদের নিয়ে বৈঠক শেষে এ কথা জানালেন গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গোপাল মিশ্র। এরফলে কলেজ নির্বাচনগুলিতে বিগত বছরের ছায়াই এবারও দেখা যাবে বলে আশঙ্কা বিরোধী ছাত্রসংগঠন গুলির।
গোপালবাবু বলেন, “তিনটি জেলায় তিন দিনে ছাত্র সংসদের নির্বাচন করা হবে। নির্বাচন প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য প্রতিটি জেলাতেই একজন করে সংযোগকারী অফিসার থাকবেন। নির্বাচনের দিন তাঁরা কলেজে কলেজে নজর রাখবেন। পর্যবেক্ষকদের একটি দলও থাকবে।” গত বছরে কলেজ নির্বাচনে টিএমসিপির বিরুদ্ধে জবরদস্তির অভিযোগ ওঠে। তাই বিরোধীরা এ বার অনলাইনে মনোয়ন দাখিলের দাবি জানিয়েছিল।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অনলাইনের মাধ্যমে নির্বাচন করতে হলে একটি নিজস্ব সফটওয়্যার প্রয়োজন। তা পরিচালনার জন্য দক্ষ কর্মী থাকতে হবে। পর্যাপ্ত কম্পিউটারও থাকা দরকার। এ সব থাকলে তবেই অনলাইন ব্যবস্থা চালু করা যাবে। গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে মোট ২২ টি কলেজ। তার মধ্যে এ বার ২১টি কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচন করা হবে। কারণ মালদহের মানিকচক কলেজ সদ্য গঠিত হয়েছে।
উপাচার্য বলেন, “আমাদের কলেজ গুলিতে তেমন পরিকাঠামো নেই। তাই এ বার অনলাইনের মাধ্যমে নমিনেশন তোলা ও জমা নেওয়া যাচ্ছে না। আগামী বছরে আমরা অনলাইনে নমিনেশন তোলা ও জমা দেওয়ার চেষ্টা করব। সব সংগঠনই যাতে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারে সে বিষয়ে আমাদের নজর রয়েছে।”
তবে অনলাইন না হওয়ায় উদ্বেগে বিরোধীরা। এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদক জাকির হোসেনের আশঙ্কা, এ বারও গত বারের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে। যুব মোর্চার জেলা সভাপতি উত্তম নন্দী বলেন, “কলেজগুলিতে এবিভিপির শক্তি বাড়ছে। ফলে শাসক দল সর্বশক্তি দিয়ে আমাদের আটকানোর চেষ্টা করবে। অনলাইন প্রক্রিয়া ছাড়া অবাধ ভোট সম্ভব হবে না।” তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি প্রসেনজিত্ দাস অবশ্য বলেন, “এখন কলেজগুলিতে বিরোধী বলে কিছু নেই। এ বারও আমরা সবকটি কলেজেই জিতব। অনলাইন হোক আমরাও চাই।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি কলেজের মধ্যে মালদহে ১১টি, দক্ষিণ দিনাজপুরে ৭টি ও উত্তর দিনাজপুরে ৪টি কলেজ রয়েছে। এ দিন সিদ্ধান্ত হয়েছে,আগামী ২৭ জানুয়ারি দক্ষিণ দিনাজপুর, ২৮ জানুয়ারি উত্তর দিনাজপুর ও মালদহে ২৯ জানুয়ারি ছাত্র সংসদ নির্বাচন হবে।