জলপাইগুড়িতে পুলিশের মারে আহত মহিলা।ছবি: সন্দীপ পাল
স্কুটিতে থাকা এক যুবতীকে লাঠি দিয়ে আঘাত করার অভিযোগ উঠল এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সন্ধে সাড়ে সাতটা নাগাদ জলপাইগুড়ির গোশালা মোড়ে এই ঘটনার পর পুলিশের বিরুদ্ধে সরব হন স্থানীয় বাসিন্দারা। জনতার বিক্ষোভের জেরে সেখানে থাকা পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়াররা প্রথমে পালিয়ে যান৷ পরে জলপাইগুড়ির কোতোয়ালি থানার পুলিশ কর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন৷
মাসকালাইবাড়ির বাসিন্দা তাপ্তি মোদক নামে ওই যুবতী স্কুটি নিয়ে টিউশন পড়াতে গোশালা মোড়ের দিকে যাচ্ছিলেন৷ সেই সময় ওই এলাকায় মোটর সাইকেলে তল্লাশি চালাচ্ছিল পুলিশ৷ চার-পাঁচজনের ওই দলটিতে একজন এসআই ও সিভিক ভলেন্টিয়াররা ছিলেন৷ তাপ্তির অভিযোগ, “আমি হেলমেট পড়েই গাড়ি চালাচ্ছিলাম৷ গাড়িতে বৈধ কাগজ-পত্রও ছিল৷ কিন্তু পুলিশ যেখানে তল্লাশি করছিল সেখান দিয়ে যাওয়ার সময় পেছন দিক থেকে এক সিভিক ভলান্টিয়ার কোনও কারণ ছাড়াই লাঠি দিয়ে প্রচণ্ড জোরে আমার পিঠে আঘাত করে৷ আমি সঙ্গে সঙ্গে রাস্তায় পড়ে যাই৷”
স্থানীয় বাসিন্দারা যুবতীকে উদ্ধার করে পাশেই একটি বাড়িতে নিয়ে যান৷ এরপর শুরু হয় বিক্ষোভ৷ পরিস্থিতি বেগতিক দেখে মোটর সাইকেলে তল্লাশি চালানো ওই এসআই ও সিভিক ভলেন্টিয়াররা পালিয়ে যান৷ তবে এক সিভিক ভলেন্টিয়ারকে আটকে দেয় বাসিন্দারা৷ খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানা থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাদেরকে ঘিরেও বিক্ষোভ শুরু হয়৷ শেষ পর্যন্ত জলপাইগুড়ি কোতয়ালি থানার আইসি শুভাশিস চাকির নেতৃত্বে পুলিশ সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়৷
এরপর ওই যুবতীকে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়৷ জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় এফআইআর দায়ের করেন ওই যুবতী৷ জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি বলেন, ‘‘তদন্ত শুরু হয়েছে৷ সিভিক ভলেন্টিয়ারের বিরুদ্ধে দোষ প্রমাণ হলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷’’