বনকর্মীদের গুলিতে আহত কাঠকুড়ানি

জঙ্গলে কাঠ কুড়োতে গিয়ে বনকর্মীদের ছোড়া গুলিতে জখম হয়েছেন এক মহিলা। শুক্রবার বিকেলে পাঁচটা নাগাদ জলদাপাড়ার উত্তর রেঞ্জের ঘটনা। সূত্রের খবর, এ দিন বিকেলে মাদারিহাটের জলদাপাড়া জঙ্গলে কাঠ কুড়োতে গিয়েছিলেন এলাকার দুই মহিলা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ধূপগুড়ি শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০১৬ ০২:৩৭
Share:

জঙ্গলে কাঠ কুড়োতে গিয়ে বনকর্মীদের ছোড়া গুলিতে জখম হয়েছেন এক মহিলা। শুক্রবার বিকেলে পাঁচটা নাগাদ জলদাপাড়ার উত্তর রেঞ্জের ঘটনা। সূত্রের খবর, এ দিন বিকেলে মাদারিহাটের জলদাপাড়া জঙ্গলে কাঠ কুড়োতে গিয়েছিলেন এলাকার দুই মহিলা। জ্বালানি সংগ্রহ করে জাতীয় সড়কের ধারে জঙ্গলে সেগুলি বাঁধার সময়ে হাতির পিঠে চেপে টহলদারি করতে থাকা বনকর্মীরা নাগাড়ে গুলি ছুড়তে শুরু করে বলে অভিযোগ। গুলিতে জখম এক মহিলা লুটিয়ে পড়লে তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা না করেই বনকর্মীরা ফিরে যান বলেও বাসিন্দাদের দাবি। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে আলিপুরদুয়ার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এলাকার বাসিন্দারা এই ঘটনায় খুবই ক্ষুব্ধ। কেউ কাঠ চুরি করছে বলে সন্দেহ হলে, প্রথমেই বনকর্মীরা গুলি চালাল সে প্রশ্ন তুলেছেন বাসিন্দারা। নিয়ম অনুয়ায়ী কাউকে সন্দেহ হলে প্রথমে সর্তক করার কথা। তাতে কাজ না হলে শূন্যে গুলি ছুড়ে ভয় দেখানো যেতে পারে। তারপরে গ্রেফতার করা বা অন্য পদক্ষেপ হয়। চুরিতে বাধা দিতে গিয়ে বনকর্মীদের উপরে পাল্টা হামলা হলেই গুলি চালানোর কথা। এ ক্ষেত্রে কেন মহিলাদের দেখে প্রথমেই বনকর্মীরা গুলি চালালেন তার তদন্তও দাবি করেছেন বাসিন্দারা। যদিও, বন দফতরের দাবি, গ্রামের বাসিন্দাদের কয়েকজন জ্বালানি কুড়োনোর পরিবর্তে সরাসরি গাছ কাটতে শুরু করেছিল। বাধা দিলে পাল্টা বচসা শুরু হয়, সে সময়ে শূন্যে গুলি চালালে তা কোনও ভাবে কারও গায়ে লেগে থাকতে পারে বলে বন দফতরের দাবি। যদিও, গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ, বনকর্মীদের আড়াল করতেই এমন ভিত্তিহীন তত্ত্ব সাজানোর চেষ্টা করছে বন দফতর।

Advertisement

জলদাপাড়ার বন্য প্রাণী সহায়ক বিমল দেবনাথ বলেন, ‘‘ঘটনার খবর পেয়েছি। কয়েকজন বাসিন্দা জ্বালানি সংগ্রহ করতে গিয়ে গাছ কাটতে শুরু করে। সে সময় বনকর্মীরা বাধা দিলে বাসিন্দারা বচসা শুরু করে। ভয় দেখাতে শূন্যে গুলি চালানো হয়েছিল, তা কোনও ভাবে কারও গায়ে লেগে থাকতে পারে।’’

জখম মহিলার নাম বীণা বিশ্বাস। তিনি মাদারিহাটের মেঘনাদ সাহা রোডের বাসিন্দা। তাঁর হাতে পায়ে, কোমরে ছররা গুলি লেগেছে। গুলি লাগার পরে বীণাদেবী সংজ্ঞা হারিয়ে পেলেন। এ দিন রাতে তাঁর হুঁশ ফেরে। বীণা দেবী জানিয়েছেন, তাঁর বোনকে সঙ্গে নিয়ে বিকেলে জ্বালানি কুড়োতে জলদাপাড়ার জঙ্গলে ঢুকেছিলেন। সন্ধ্যে হতে শুরু করায় জঙ্গলের খুব একটা গভীরেও তাঁরা যাননি। জাতীয় সড়কের ধারেই জঙ্গল শুরুর মুখেই জ্বালানি সংগ্রহ করে, দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখছিলেন। সে সময় পেছন দিক থেকে হাতিতে চেপে কয়েকজন বনকর্মী আসে। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে বীণা দেবী অভিযোগ করে বলেন, ‘‘আমরাও হাতিতে চেপে আসা বনকর্মীদের দেখেছিলাম। হঠাৎই দেখি ওরা আমাদের দিকে বন্দুক তাক করেছে। হঠাৎই হাতে পায়ে প্রচন্ড আঘাত লাগে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement