যাত্রীদের নিখরচায় নেট পরিষেবা দিতে বাগডোগরা বিমানবন্দরে তৈরি হয়েছে ওয়াইফাই জোন। বিমানবন্দরে আসা যাত্রীরা নিখরচায় ওয়াইফাই ব্যবহার করে ইন্টারনেটে তথ্য আদান-প্রদান করতে পারবেন। বিমানবন্দরের ভিতরে চারটি ওয়াইফাই রাউটার বসানো হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। যার ফলে বিমান্দরের ভিতরে এবং বাইরের কিছু এলাকাও ওয়াইফাই জোনের মধ্যে পড়বে। ওয়াইফাইয়ের ‘পাসওয়ার্ড’ যাত্রীদের জন্য বোর্ডে টাঙিয়ে দেওয়া হবে, যেটা ‘সেভ’ করে যে কেউ মোবাইল অথবা ল্যাপটপ থেকে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবে। গত আর্থিক বছরইে বাগডোগরা বিমানবন্দর বছরে দশ লক্ষ যাত্রী যাতায়াতের রেকর্ড ছুঁয়েছিল। বিমানবন্দর সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে ওয়াইফাই বসানোর কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।
বিমানবন্দরের অধিকর্তা রাকেশ সহায় বলেন, ‘‘আর হাতে গোনা কয়েকদিন, তারপরেই বিমানবন্দরে আসা যাত্রীরা কোনও খরচ ছাড়াই ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন। একসঙ্গে যাতে অনেকে ব্যবহার করলেও, নেটওয়ার্ক দুর্বল না হয়ে পড়ে তার জন্য এই ব্যবস্থা।’’
দেশের প্রথম সারির আর্ন্তজাতিক বিমাবন্দরগুলির সিংহভাগেই ওয়াইফাই পরিষেবা মেলে। বিদেশ তথা ভিনরাজ্য থেকে বিমানবন্দরে পৌঁছন যাত্রীদের অনেকেরই মোবাইলে সিম সক্রিয় হতে সময় লাগে। সে কারণে বিমানবন্দরে নেমেই বিভিন্ন তথ্য পেতে সমস্যায় পড়তে হয় ভিনরাজ্য অথবা বিদেশের যাত্রীদের। বিমানবন্দরে ওয়াইফাই পরিষেবা থাকলে সে সমস্যা কাটানো সম্ভব। বর্তমানে বিমান ছাড়ার অন্তত দু’ঘণ্টা আগে বিমানবন্দরে পৌঁছতে হয়, আবার বিমানে নেমেও মালপত্র হাতে পেতে কিছুটা সময় লাগে। এই সময়টায় অনেকেই ই-মেল, সব নানা কাজ সেরে নিতে চান। ওয়াইফাই পরিষেবা চালু হওয়ায় বাগডোগরায় যাত্রীদের আর সেই সমস্যা হবে না বলেই দাবি করা হয়েছে।
বাগডোগরা বিমানবন্দর সূত্রে জানানো হয়েছে, বিমানবন্দরের রেস্তোরার ভিতরে, ভিআপি রুমে ঢোকা এবং বের হওয়ার পথে, ওয়াইফাই হটস্পট থাকবে। সিকিম, দার্জিলিং, ডুয়ার্সগামী দেশ বিদেশের পর্যটকরা বাগডোগরা হয়ে যাতায়াত করেন। উত্তরবঙ্গের ট্যুর অপারেটরদের সংগঠন এতোয়ার কার্যকরী সভাপতি সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘‘পর্যটকদের স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য বাগডোগরা বিমানবন্দরের নানা পরিকাঠামো উন্নয়নের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। শুধু পর্যটকরাই নন, কর্পোরেট জগতের লোকেরাও বাগডোগরায় নিয়মিত ওঠা নামা করেন। ওয়াইফাই চালু হওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই।’’