একটি রাজনৈতিক দলকে হেয় করার জন্য পুরসভায় কর্মী নিয়োগের পরীক্ষায় ‘সারদা কেলেঙ্কারিতে যুক্ত কুণাল ঘোষকে কবে গ্রেফতার করা হল’ এই প্রশ্ন রাখা হয়েছে বলে আগেই অভিযোগ তুলেছিল তৃণমূল। সোমবার অ্যাকাউট্যান্ট নিয়োগের যে পরীক্ষায় ওই প্রশ্নটি ছিল তা বাতিল করে পুনরায় নেওয়ার দাবি তুলেছে যুব তৃণমূল।
এ দিন পুরসভায় গিয়ে তারা এই ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখায়। মেয়রের পদত্যাগ দাবি করে স্লোগান দেয়। বিরোধী দলনেতা নান্টু পাল তৃণমূল কাউন্সিলরদের নিয়েও পুর কমিশনারকে এ ব্যাপারে স্মারকলিপি দেন। এই ঘটনায় যুক্তদের গ্রেফতারের দাবি তোলেন। মেয়রের পাল্টা প্রশ্ন, ‘‘কুণাল ঘোষকে নিয়ে যে প্রশ্ন করা হয়েছে তা পিএসসি’র অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্ট সার্ভিসেস-এর পরীক্ষার ২০১৪ সালের গাইড বুকেই রয়েছে। তা ছাড়া কুণাল ঘোষকে দল সাসপেন্ড করেছে। তা হলে কী এখানে তৃণমূল নেতারা তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে দায় নিচ্ছেন? না হলে কেন তারা এ নিয়ে হইচই করছেন?’’ তৃণমূলের যুব সভাপতি বিকাশ সরকারের দাবি, ‘‘কোনও ব্যক্তির বিষয়ে আমরা বলছি না। আদালতের অধীনে থাকা বিতর্কিত বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে কোনও রাজনৈতিক দলকে হেয় করার জন্য। নিয়োগ নিয়ে মেয়র দলবাজি করছেন। ওই পরীক্ষা পুনরায় নেওয়ার জন্য আমরা দাবি করছি।’’ মেয়রের পাল্টা দাবি, ‘‘এ ধরনের প্রশ্ন হতেই পারে। এটা কোনও বড় ব্যাপার নয়। এ নিয়ে হইচইয়েরও কিছু নেই।’’
তিন বছর আগে সারদা কেলেঙ্কারি নিয়ে কুণাল ঘোষকে গ্রেফতার করা হয়। সে সময় তৃণমূলের রাজ্য সভার ওই সংসদের গ্রেফতারের ঘটনা নিয়ে আসরে নামে বিরোধীরা। ফের সেই ঘটনাকে উস্কে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের একাংশের। জেনে বুঝেই পুর কর্তৃপক্ষ এ কাজ করেছেন বলে অভিযোগ।
এ দিন ওই দাবিতে পুর কমিশনারকে যুব তৃণমূল স্মারকলিপি দেয়। দার্জিলিং জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি বিকাশ সরকার বলেন, ‘‘পরীক্ষার সাধারণ জ্ঞানের প্রশ্নে এ ধরনের প্রশ্ন করে সংকীর্ণ মানসিকতার পরিচয় দিয়েছেন পুর কর্তৃপক্ষ। তা ছাড়া বিভিন্ন ভাষাভাষীর প্রার্থীরা পরীক্ষা দিয়েছিলেন। কেবল মাত্র বাংলায় ওই প্রশ্নপত্র করা হয়েছে। তাতে অন্য ভাষার প্রার্থীরা বিপাকে পড়েছেন। ওই পরীক্ষা বাতিল করে নতুন করে নেওয়ার দাবি জানিয়েছি।’’ পুর কমিশনার সোনম ওয়াংদি ভুটিয়া জানান, অভিযোগের বিষয়টি পুর সচিবকে দেখতে বলেছেন। সেই মতো বিষয়টি জেনে পুর কর্তৃফক্ষকে জানাবেন পুর কমিশনার।