পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ফের উত্তপ্ত দিনহাটা। প্রতীকী চিত্র।
পঞ্চায়েত ভোটের মুখে উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে দিনহাটা। ভেটাগুড়ির গোলমালের পরে মঙ্গলবার রাতভর বুড়িরহাট ও বামনহাটে বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছে। বিজেপির এক মণ্ডল নেতাকে মারধরের অভিযোগও ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী তথা দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ ও কেন্দ্রীয় প্ৰতিমন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের অনুগামীদের মধ্যে ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে গণ্ডগোল আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদিও দু’দলই নিজেদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ খণ্ডন করেছে। একে অপরের বিরুদ্ধে দোষ চাপিয়েছে। পুলিশ অবশ্য বোমাবাবাজির অভিযোগ ঠিক নয় বলে জানিয়েছে।
তৃণমূলের কোচবিহারে জেলার মুখপাত্র পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ‘‘বিজেপি নানা ভাবে অশান্তির পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছে। পরিকল্পিত ভাবে তৃণমূল কর্মীদের উপরে হামলা করেছে। তৃণমূল কোথাও গোলমাল করেনি।’’ বিজেপির কোচবিহার জেলার সাধারণ সম্পাদক বিরাজ বসু অবশ্য দাবি করেন, মঙ্গলবার রাতে বুড়িরহাটে তাদের চার জন নেতার বাড়ির সামনে বোমাবাজি হয়। দিনহাটা ২ ব্লকের বামনহাট দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের কাশিয়াবাড়িতে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ বিজেপির মণ্ডল সাধারণ সম্পাদক দীপেন বর্মণকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলে তিনি অচৈতন্য হয়ে পড়েন। পরিজনেরা তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে বামনহাট ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যান। অবস্থা সঙ্কটজনক হওয়ায় পরে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় কোচবিহারে। দীপেন জানান, রাত প্রায় সাড়ে ১১টা নাগাদ মুখে রুমাল বেঁধে কদল দুষ্কৃতী তাঁর বাড়িতে ঢুকে তাঁকে ঘুম থেকে ডেকে তোলে। তার পরে বাইরে নিয়ে গিয়ে মারধর করে। তিনি বলেন, ‘‘আমার সঙ্গে এলাকার সকলেরই ভাল সম্পর্ক। আমি বিজেপি করায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা মারধর করেছে।’’
তৃণমূলের দিনহাটা দুই ব্লক সভাপতি দীপক কুমার ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘আমাদের কাছে যা খবর, ওই ব্যক্তি একাধিক বেআইনি সংস্থার সঙ্গে জড়িত। যারা তাঁর কাছে টাকা পায়। গত ক’দিন ধরে তাঁর বাড়ি গিয়ে টাকা দাবি করা হচ্ছিল সংস্থার তরফে। পাশাপাশি, আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে ওই এলাকায় কে প্রার্থী হবেন, তা নিয়েও দ্বন্দ্ব চলছিল। এই ঘটনায় তৃণমূলের কেউ জড়িত নন। তৃণমূলের নাম জুড়ে ভোটের মুখে রাজনীতির চেষ্টা চলছে।’’ তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।