—ফাইল চিত্র।
লকডাউন থাকলেও ২০ এপ্রিলের পরে কিছু বিষয়ের উপর ছার দিয়েছে সরকার। তাতে ১০০দিনের কাজ শুরু করার চিন্তা করছে শিলিগুড়ি মহকুমাপরিষদের এনআরইজিএস সেল। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের অসমাপ্ত কিছু কাজ শুরু করার চেষ্টা করেছে তারা। যাতে ৫০ শতাংশ শ্রমিককে কাজ দেওয়া যায় সেজন্য প্রকল্পগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে এনআরইজিএস সেলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
গ্রাম পঞ্চায়েত উন্নয়ন পরিকল্পনা ও বাজেট (জিপিডিপি) তৈরির জন্য জেলা শাসকদের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যের গ্রাম উন্নয়ন দফতর। সেই টাকায় কাজ হবে একশেদিনের কাজের। নতুন করে ২০২০-২১ অর্থবর্ষের পরিকল্পনা অনুমোদন করে ‘‘প্লান প্লাস’’ পোর্টলে নথিভূক্ত করতে হত এবছর ১৫ এপ্রিলের মধ্যে। লকডাউনের ফলে সেই কাজ হয়নি। শিলিগুড়ি মহকুমার ২২টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে মাত্র ৫টি গ্রাম পঞ্চায়েতের সেই পরিকল্পনা অনুমোদন হয়েছে ওই পোর্টলে। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে ২৮ এপ্রিলে সেই সময়সীমা বাড়ান হয়েছে। তাতে গ্রামীণ এলাকার কাজগুলি শুরু করা যায়, সেজন্য এই ব্যবস্থা বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
মহকুমা পরিষদের সভাপধিপতি সিপিএমের তাপস সরকার বলেন, ‘‘সরকাররে নির্দেশে নেমে আমরা একশো দিনের শ্রমিকদের মাধ্যমে কিছু কাজ শেষ করার কথা ভবাছি। তাতে একদিকে যেমন কিছু শ্রমিক সঙ্কট মুক্ত হতে পারবে তেমনি গ্রামিণ অর্থনীতি কিছুটা হলেও ভাল হতে পারে।’’ তিনি জানান, লকডাউনে একশো দিনের অনেক শ্রমিক সমস্যায় পড়েছেন। সংসারের টানে তাঁরা অনেকটা দিশাহীন হয়ে পড়েছেন। প্রশসানের নিয়ম নীতি মেনে অল্প শ্রমিকদের দিয়ে ছোট কাজগুলি যাতে করা যায় সেজন্য চেষ্টা চলছে।
লকডাউনের আগে একশোদিনের কাজে অনেকটাই পিছিয়ে ছিল শিলিগুড়ি মহকুমা। কাজের পরিকল্পনা ধরা হলেও লকডাউনের ফলে কতগুলি কাজ শুরু হয়নি, কতগুলি শুরু হলেও শেষ হয়নি। সেই সমস্ত প্রকল্পের কাজগুলিও শেষ করার ভাবনা কর্তৃপক্ষের। মহকুমার বেশিরভাগ গ্রাম পঞ্চায়েত তাদের বরাদ্দের প্রায় ৫০ শতাংশ টাকা খরচ করতে পারেনি। টাকা ফেরত না যাওযায় প্রকল্প বদল করেও ছোট ছোট করে কাজ করার চিন্তা ভাবনা শুরু করেছে মহকুমাপরিষদ কর্তৃপক্ষ।