ছবি বন দফতরের সৌজন্যে। —নিজস্ব চিত্র।
আদুরে ‘গজরাজ’কে মুড়ে ফেলা হয়েছে মোটা কম্বলে। বাদ নেই বাকিরাও। নিয়মিত তাদের জন্য আগুন পোহানোর ব্যবস্থা হয়েছে। কনকনে ঠান্ডায় জবুথুবু যখন সবাই, ঠিক তখন জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে থাকা হস্তিশাবকদের একটু আরামে রাখতে এমনই ব্যবস্থা করল বন দফতর।
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে প্রায় নব্বইটি কুনকি হাতি রয়েছে। যার মধ্যে পাঁচ বছরের হস্তিশাবক রয়েছে ছ’টি। এ ছাড়া, তাদের থেকে মাত্র দু-তিন বছর বয়স বেশি, এমন আরও দুটি হাতি রয়েছে উত্তরের এই জাতীয় জাতীয় উদ্যানে। হলং পিলখানার পাশাপাশি, হেডকোয়ার্টার পিলখানা-সহ জলদাপাড়ার একাধিক রেঞ্জে রয়েছে এরা। বন দফতরের কর্তারা জানিয়েছেন, ঠান্ডায় বড় হাতিদের তেমন কোনও সমস্যা হয় না। কিন্তু শাবক-সহ বয়সে ছোট হাতিদের অনেক সময়ে তা মানিয়ে নিতে সমস্যা হয়। সে জন্যই কনকনে শীতে ছোট হাতিদের আশপাশে আগুন জ্বালিয়ে তাদের আরামে রাখার চেষ্টা চলছে। আর ‘গজরাজ’কে পরানো হয়েছে কম্বল।
জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর মে মাসে দলগাঁও থেকে উদ্ধার করা হয় ‘গজরাজ’কে। মা হারা সে শাবকের বয়স তখন ছিল মাত্র তিন মাস। তাকে বাঁচাতে দিনরাত এক করে দিয়েছিলেন বনকর্মীদের অনেকেই। তাতে তাঁরা সাফল্যও পান। এখন ‘গজরাজ’-এর বয়স এগারো মাস। বনকর্মী থেকে শুরু করে আধিকারিক, সকলেরই অত্যন্ত আদুরে সে। এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় বন আধিকারিকদের অনেকেই আদর করে যান তাকে।
বন দফতরের আধিকারিকদের একাংশ জানিয়েছেন, দিন কয়েক আগে, উত্তরবঙ্গে প্রবল ঠান্ডা পড়তে ‘গজরাজ’-এর জন্য কম্বল কিনে আনা হয়। রয়েছে আগুন পোহানোর ব্যবস্থাও। জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের সহকারী বন্যপ্রাণ সহায়ক নভোজিৎ দে বলেন, “ঠান্ডায় হস্তি শাবকেরা যাতে কষ্ট না পায়, সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”