নেতৃত্বে: বৃহস্পতিবার কোচবিহারের মাথাভাঙায় সভা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। হাজরাহাট ও বালাসিতেও যান তিনি। —নিজস্ব চিত্র।
পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দলের ‘আক্রান্ত কর্মী’দের পাশে দাঁড়াতে কোচবিহারের মাথাভাঙায় যান দিলীপবাবু।
মাথাভাঙার হাজরাহাট ও বালাসীতে গিয়ে আক্রান্তদের খোঁজখবর নেন। মাথাভাঙার পুলিশ প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গেও দেখা করেন। পরে পুলিশ-প্রশাসনের একাংশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে প্রয়োজনে তাঁরা দলের ‘পলিসি’ বদল করবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন।
তৃণমূল অবশ্য দিলীপবাবুর বক্তব্যকে আমলই দিতে চায়নি। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী তথা তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “প্রথম প্রথমই হয়। ফাস্ট সুপারফাস্ট হয়। দিলীপবাবুদের দিবাস্বপ্ন দেখে লাভ নেই।” একই সঙ্গে তিনি বলেন, “প্রশাসন সঠিক ভাবে কাজ করছে।”
এ বার লোকসভা উপনির্বাচনে কোচবিহার কেন্দ্রে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে বিজেপি। তারপর থেকেই কোচবিহারে সংগঠন চাঙ্গা করতে বাড়তি জোর দেওয়া হচ্ছে বলে বিজেপি সূত্রে খবর। এর জেরেই বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা হচ্ছে বলে নেতাদের অভিযোগ। তাঁদের ক্ষোভ, পুলিশের সামনেও মারধর হচ্ছে। সংঘর্ষের পর বিজেপির লোকদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য মামলা দেওয়া হচ্ছে। অথচ যারা মারছেন, তাঁরা শাসক দলের বলেই জামিন পেয়ে যাচ্ছেন।
দিলীপবাবু বলেন, “এটা যদি সরকারের পলিসি হয় তবে আমাদের পলিসিও আলাদা হবে। প্রশাসন যদি সবার জন্য হয় তা হলে ভরসা করব। ভরসা গেলে সব হাতের বাইরে যাবে। তার জন্যও বিজেপি প্রস্তুত রয়েছে।” বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি নিখিলরঞ্জন দে বলেন, “সম্প্রতি হাজরাহাটে দলের বেশ কয়েকজন কর্মীর উপর হামলা চালায় তৃণমূল।”