এশিয়ান হাইওয়ের কাজের জন্য তিন বাতি এলাকায় পানীয় জলের পাইপ লাইন সরাতে হবে। ওই কাজের জন্য আগামী ৩-৬ জানুয়ারি শিলিগুড়ি শহরে পানীয় জল সরবরাহ হবে না। বিকল্প ব্যবস্থার প্রস্তুতির জন্য আজ, বুধবার বিরোধীদের নিয়ে গঠিত তদারকি কমিটির প্রথম বৈঠক হতে চলেছে শিলিগুড়ি পুরসভাতে। তার আগে মঙ্গলবার মেয়র অশোক ভট্টাচার্য, জল সরবরাহ বিভাগের মেয়র পারিষদ জয় চক্রবর্তী, জন স্বাস্থ্য এবং কারিগরি দফতরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়র, এশিয়ান হাইওয়ে কর্তৃপক্ষের ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে প্রাথমিক কথা হয়।
মেয়র বলেন, ‘‘জন স্বাস্থ্য কারিগরি দফতর, এশিয়ান হাইওয়ে সকলেই সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। জলপাইগুড়ি পুরসভার অন্তত ৪টি ট্যাঙ্ক দেবে। একটি দুধের কোম্পানি থেকে ২টি ট্যাঙ্কার পাওয়া যাবে। সব মিলে সমস্ত ওয়ার্ডে জল সরবরাহের বিকল্প ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’’
বিকল্প ব্যবস্থার আয়োজনের জন্য পুরসভাকে জন স্বাস্থ্য কারিগরি দফতর সাহায্য করবে বলে আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু পুর কর্তৃপক্ষ এখনও টাকা পাননি বলে কিছু দিন আগে অভিযোগ তুলেছিলেন মেয়র। তবে জন স্বাস্থ্য এবং কারিগরি দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, গত ১২ অগস্ট যে ভাবে কথা হয়েছে সেই মতো তারা সমস্ত সাহায্যই করবেন। জন স্বাস্থ্য এবং কারিগরি দফতরের তরফে প্রতিদিন এক লক্ষ করে পানীয় জলের পাউচ বিলি করা হবে বলে জানানো হয়েছে। মেয়র জানান, জন স্বাস্থ্য কারিগরি দফতর আশ্বাস দিয়েছে আর্থিক সাহায্যের কিছু তারা কয়েকদিনের মধ্যেই দিয়ে দেবেন।
পুরসভার তরফে প্রতিটি ওয়ার্ডে পানীয় জলের ট্যাঙ্কার পাঠানো হবে বলে জানানো হয়। সেই মতো প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বুধবারের পর থেকেই পুরো দস্তুর কাজে নেমে পড়তে চান পুরকর্তৃপক্ষ। পুরসভার পানীয় জলের ট্যাঙ্ক রয়েছে ১৫টি। তার মধ্যে কয়েকটি জরুরি পরিস্থতির জন্য রেখে বেশিরভাগই ওই কাজে ব্যবহার করা হবে। তা ছাড়া, এক হাজার লিটারের অন্তত ৫০টি ড্রামের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। দু’টি করে ড্রাম এক একটি গাড়িতে তুলে ওয়ার্ডে জল পাঠানো হবে। এমন অন্তত ২৫টি গাড়ি থাকছে। জলপাইগুড়ি পুরসভার কাছেও পানীয় জলের ট্যাঙ্কার মিলবে। ৪৭ টি ওয়ার্ডে অন্তত ১টি করে গাড়ি থাকছেই। ওয়ার্ডের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে গাড়িগুলো করে জল সরবরাহ করা হবে। জল ফুরিয়ে গেলে চারটি জায়গা থেকে ট্যাঙ্কিগুলো জল ভরতে পারবে। তার মধ্যে রয়েছে ফুলবাড়ি ট্রিটম্যান্ট প্ল্যান্ট, ঝঙ্কারমোড়ের জলাধার এবং গভীর নলকূপ, শক্তিগড়ের জলাধার, বাঘা যতীন কলোনির গভীর নলকূপ।