পাইপ বসানোয় বেহাল রাস্তা, দুর্ভোগে বাসিন্দারা

শহরের অলি-গলি থেকে মূল রাস্তা সব খানা-খন্দে ভরা। যার ফলে শহরে বাড়ছে যানজট। দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে শহরবাসীদের। মাসখানেক ধরে মালদহের ইংরেজবাজারের রাস্তাগুলির এমনই বেহাল দশা হলেও পুরসভা উদাসীন বলে অভিযোগ করছেন বাসিন্দারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:৫৪
Share:

এই কাজ ঘিরেই সমস্যা। — নিজস্ব চিত্র

শহরের অলি-গলি থেকে মূল রাস্তা সব খানা-খন্দে ভরা। যার ফলে শহরে বাড়ছে যানজট। দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে শহরবাসীদের। মাসখানেক ধরে মালদহের ইংরেজবাজারের রাস্তাগুলির এমনই বেহাল দশা হলেও পুরসভা উদাসীন বলে অভিযোগ করছেন বাসিন্দারা।

Advertisement

তাঁদের অভিযোগ, পাকা রাস্তা খুঁড়ে মাসখানেক আগে আর্সেনিকমুক্ত পানীয় জলের পাইপ পোঁতা হয়েছিল। সেই কাজ শেষ হয়ে গেলেও রাস্তাগুলি মেরামত করা হয়নি। ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই শহরের রাস্তাঘাট দিয়ে চলাফেরা করা দায় হয়ে উঠছে বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দা দিলীপ সরকার, সোনা দাসরা বলেন। ‘‘খনন করে রাখার ফলে ব়ৃষ্টি হলেই কাদায় ভরে যাচ্ছে রাস্তা। মোটরবাইকের ব্রেক কষলেই ছিটকে পড়তে হচ্ছে।’’ এমন রাস্তার জন্য প্রায়ই পথ দুর্ঘটনা ঘটছে বলে পুজোর আগেই দ্রুত বেহাল রাস্তা সারানোর দাবি করেছেন বাসিন্দারা।

ইংরেজবাজারের বিধায়ক তথা কাউন্সিলর নীহাররঞ্জন ঘোষ বেহাল রাস্তার জন্য পুরসভাকেই দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘পাইপ লাইন বসানোর কাজ হয়ে যাওয়ার পরেই রাস্তাগুলিকে পাকা করে দেওয়ার জন্য পুরকর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলাম। পুরসভা কর্তৃপক্ষ কোনও কর্ণপাত করেননি।’’ এ দিকে ইংরেজবাজার পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তৃণমূলের দুলাল সরকার বলেন, ‘‘পাইপ লাইনের কাজ এখনও চলছে।’’ সব ওয়ার্ডে কাজ শেষ হয়ে গেলেই রাস্তা মেরামত করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরও বলেন, ‘‘পুজোর আগেই শহরের সমস্ত রাস্তাঘাট মেরামত করা হবে।’’

Advertisement

ইংরেজবাজার পুরসভার ২৯টি ওয়ার্ড রয়েছে। শহর জুড়ে আসের্নিকমুক্ত পানীয় জলের পরিষেবা চালুর জন্য গত জুন মাস থেকেই পাইপ লাইন বসানোর কাজ শুরু হয়েছিল। গ্যাস কাটার দিয়ে রাস্তাগুলি খুঁড়ে পাইপ বসিয়ে ফের তা মাটি দিয়ে ঢেকে দেওয়া হচ্ছে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ৮, ৯, ১১, ১২, ১৩, ১৪, ২০, ২১, ২২, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে পাইপ পোঁতা হয়ে গিয়েছে। শহরের স্টেশন রোড, বিনয় সরকার রোড, ফুলবাড়ি রোড, মাধবনগরেও পাইপ বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু তারপরেও ওই অবস্থাতেই রয়ে গিয়েছে রাস্তাগুলি। ফলে বৃষ্টি হলে কাদা হয়ে যাচ্ছে রাস্তাঘাট। রাস্তার মাঝে গর্ত হয়ে রয়েছে। স্কুল পড়ুয়া-সহ নিত্যযাত্রীদের যাতায়াতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement