ওপার বাংলার জলে বালুরঘাটে আত্রেয়ীতে ভাঙন, বাড়ছে ক্ষোভ

সেচ দফতর জানিয়েছে, আত্রেয়ী বিপদ সীমার অনেক নীচে রয়েছে। ওই এলাকার পশ্চিমাংশে নদীর জলে টান ধরায় ভাঙনের সম্ভবনা তৈরি হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বালুরঘাট শেষ আপডেট: ১৪ জুলাই ২০১৯ ০৪:৩৪
Share:

গ্রাসে: পার্বতীপুরে তলিয়ে যাচ্ছে চাষের জমি। নিজস্ব চিত্র

আত্রেয়ীর ভাঙনে চাষের জমি নদী গর্ভে তলিয়ে যেতে শুরু করায় আতঙ্কে বাসিন্দারা। শনিবার বালুরঘাটের বোয়ালদারের পার্বতীপুর এলাকায় জল বেড়ে খেতের ফসল ভেসে গিয়েছে। বুধবার থেকে হঠাৎ করে নদীর জল বেড়ে যাওয়ায় এই বিপত্তি শুরু। ক্ষতি কমাতে বাঁধের জল ছাড়ার আগে বাংলাদেশকে আগাম বার্তা দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন পরিবেশকর্মীরা।

Advertisement

স্থানীয় কৃষক বাদল সরকারের দাবি, গত দু’বছরের ভাঙনে সব মিলিয়ে তাঁর প্রায় ১০ বিঘা চাষের জমি নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে। ষষ্ঠীচরণ মাহাতো, বকুল বর্মণেরা বলেন, ‘‘গত বছর বন্যার পরে আত্রেয়ীর ভাঙনে বিস্তীর্ণ চাষের জমি তলিয়ে গিয়েছে। বুধবার থেকে হঠাৎ জল বেড়ে যাওয়ায় ফের খেতের ফসল ভেসে গিয়েছে।’’

সেচ দফতর জানিয়েছে, আত্রেয়ী বিপদ সীমার অনেক নীচে রয়েছে। ওই এলাকার পশ্চিমাংশে নদীর জলে টান ধরায় ভাঙনের সম্ভবনা তৈরি হয়েছে। ঘটনার দিকে নজর রাখা হয়েছে বলে সেচ দফতরের জেলা নির্বাহী বাস্তুকার স্বপন বিশ্বাস জানান। তিনি বলেন, ‘‘গত তিন দিনে প্রায় ৩০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আত্রেয়ীর এপারে পাগলিগঞ্জের দিকে সেতু সংযোগকারী রাস্তার পাশে ভেঙে যাওয়া বাঁধ সিমেন্টের বস্তা ফেলে মেরামতি করে ভাঙন রোধ করা গিয়েছে।’’

Advertisement

এ দিকে আত্রেয়ীর উৎস্যমুখে তৈরি বাঁধ থেকে জল ছাড়ার আগে বাংলাদেশের তরফে এপারের জেলা প্রশাসনকে আগাম বার্তা দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন পরিবেশকর্মীরা। কেন না বর্ষার সময় ওপারে জলস্ফীতি দেখা দিলে আটকে রাখা জল ছেড়ে দেওয়ায় বালুরঘাটের দিকে নদী উপত্যকার চাষের জমি ভেসে কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। সাঁকো ও বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে জল ছাড়ার আগাম খবর পেলে জেলার নদীপাড়ের মানুষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়ে ক্ষতির বোঝা কমাতে পারেন।

জেলায় এ বার জুন মাসে বৃষ্টি হয়নি। কিন্তু জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহের পর থেকে তিন দিন ভারী বৃষ্টি হয়েছে। তার সঙ্গে বাংলাদেশের দিক থেকে বাঁধের বাড়তি জল ছেড়ে দেওয়ায় শুক্রবার ভোর থেকে শীর্ণ আত্রেয়ীর জল ফুলে ওঠে। পরিবেশ সংস্থার দাবি, ভুটান যেমন সঙ্কোষ নদীর জলস্ফীতি নিয়ে ভারত সরকারকে আগাম বার্তা দিয়ে জানায়। তেমন আত্রেয়ীর জল ছাড়ার বিষয়টিও বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষর জানানো উচিত। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনকে উদ্যোগী হতে হবে বলে শহরবাসীর দাবি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement