Firing in Malda

ভলিবল টুর্নামেন্টের সূচনা শূন্যে গুলি ছুড়ে! উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র, এফআইআর দায়ের করল মালদহ পুলিশ

মালদহের মানিকচকের নুরপুর এলাকায় রয়েছে ‘টিপটপ ক্লাব’। ক্লাবের পাশে রয়েছে পাঠাগার। সম্প্রতি ওই ক্লাবের উদ্যোগে ভলিবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়েছিল নুরপুর উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০২৫ ১৩:২২
Share:

খেলার ছলে! মালদহের মানিকচকে গুলি ছুড়ে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন। —নিজস্ব চিত্র।

মালদহের ইংরেজবাজারে তৃণমূল নেতাকে গুলি করে খুন করা হয়েছে ঠিক ২২ দিন আগে। বৃহস্পতিবার মালদহের কালিয়াচকে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। সেই মালদহে এ বার খেলাধুলোর প্রতিযোগিতার সূচনায় শূন্যে গুলি ছুড়লেন একদল যুবক। সেই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তেই শোরগোল এলাকায় (ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)। নড়েচড়ে বসে প্রশাসনও। পুলিশ সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে কয়েকটি বন্দুক এবং আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এফআইআর-ও দায়ের হয়েছে। তবে এই ঘটনায় আটক বা গ্রেফতারির কোনও খবর মেলেনি।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রের খবর, মালদহের মানিকচকের নুরপুর এলাকায় রয়েছে ‘টিপটপ ক্লাব’। ক্লাবের পাশে পাঠাগার। ২৩ জানুয়ারি ওই ক্লাবের উদ্যোগে ভলিবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়েছিল নুরপুর উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। অভিযোগ, খেলার উদ্বোধন হয় শূন্যে গুলি ছুড়ে। কয়েক জন যুবক লাইন দিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন হাতে বন্দুক নিয়ে। তাঁরা যখন গুলি চালান, তখন উপস্থিত দর্শকেরা হাততালি দিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। ওই ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়তেই মুখে কুলুপ ক্লাব কর্তৃপক্ষের। পুলিশ সূত্রের খবর, ভিডিয়ো দেখে আগ্নেয়াস্ত্রগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ২৩ জানুয়ারি ভলিবল টুর্নামেন্টে মোট চার রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছে। ব্যবহৃত চারটি বন্দুকের লাইসেন্স আছে। কিন্তু অস্ত্র আইন লঙ্ঘিত হয়েছে ওই ঘটনায়। তাই অস্ত্রগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। মনসুর আহমেদ খান, মোহাম্মদ আমিনুর রহমান খান, আলকামা খান চৌধুরী এবং মহম্মদ বখতোয়ার খানের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে।

গত ২ জানুয়ারি ইংরেজবাজার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দুলাল সরকার খুন হয়েছেন। তাঁকে গুলি করে কয়েক জন দুষ্কৃতী। সেই ঘটনায় তদন্ত চলছে। গ্রেফতার হয়েছেন কয়েক জন। ওই ঘটনায় জড়িত একাধিক ব্যক্তি এখনও অধরা। তার মধ্যে গত বৃহস্পতিবার কালিয়াচকে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চলেছে। সূত্রের খবর, বেআইনি কফ সিরাপের বোতল উদ্ধার করতে গিয়ে হামলার মুখে পড়তে হয়েছে পুলিশকে। যদিও কোনও পুলিশকর্মীর গায়ে গুলি লাগেনি। শেষ পর্যন্ত দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত বরুণ মণ্ডল এবং উমাকান্ত টোলার— দু’জনেরই বাড়ি কালিয়াচক থানা এলাকায়। তাঁদের কাছ থেকে ১০০ বোতল ফেনসিডিল, একটি সেভেন এমএম পিস্তল, দু’টি কার্তুজ, একটি ম্যাগাজিন এবং কার্তুজের খোল মেলে।

Advertisement

শুক্রবার মানিকচকের ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক শোরগোল। বিজেপির সাধারণ সম্পাদক গৌরচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘‘এটা গোলাগুলির সরকার। জানি না, ওই যুবকদের আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স আছে কি না। তা যদি থেকেও থাকে এ ভাবে প্রকাশ্যে গুলি ছোড়ার মানে হল ভীতিপ্রদর্শন করা এবং নিজেদের ক্ষমতা দেখানো। এ নিয়ে শাসকদল বা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে তো প্রশ্ন উঠবেই।’’ অন্য দিকে, তৃণমূল মুখপাত্র আশিস কুন্ডুর ব্যাখ্যা, ‘‘গুলি ছোড়ার ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ। আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করছে। এতে শাসকদলের কোনও ভূমিকা নেই।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement