উত্তর বাইরাগুড়ি

ভাগাড় নয়, পিকনিক স্পটের দাবি

ভাগাড় নয়, গ্রামে হোক পিকনিক স্পট। তাতে পর্যটকদের আনাগোনা বা়ড়বে, বাড়বে গ্রামের বাসিন্দাদের কর্মসংস্থানের সম্ভাবনাও। সোমবার উত্তর বাইরাগুড়ি এলাকায় যান আলিপুরদুয়ার ১ ব্লকের তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মনোরঞ্জন দে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০২:২৯
Share:

একসঙ্গে আলোচনায় গ্রামের বাসিন্দারা। ছবি: নারায়ণ দে।

ভাগাড় নয়, গ্রামে হোক পিকনিক স্পট।

Advertisement

তাতে পর্যটকদের আনাগোনা বা়ড়বে, বাড়বে গ্রামের বাসিন্দাদের কর্মসংস্থানের সম্ভাবনাও। সোমবার উত্তর বাইরাগুড়ি এলাকায় যান আলিপুরদুয়ার ১ ব্লকের তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মনোরঞ্জন দে। তাঁর কাছেই গ্রামবাসীরা পিকনিক স্পটের দাবি জানান। ভাগাড় করা নিয়েই পুলিশ-জনতা সংঘর্ষে শনিবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল আলিপুরদুয়ার শহর লাগোয়া ওই গ্রাম।

এ দিকে পুলিশ কর্মীকে মারধর ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে মামলা শুরু করেছে পুলিশ। জেলা প্রশাসনের তরফে ওই গ্রামে সরকারি খাস জায়গা পুরসভাকে দেওয়া হয় ডাম্পিং গ্রাউন্ড করার জন্য। গত বৃহস্পতিবার পুলিশ সেখানে গেলে পুলিশের সঙ্গে জনতার ধস্তাধস্তি হয়। সেদিন পুরসভা এলাকায় ময়লা ফেলে। তার পর থেকেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত ছিল। শনিবার উত্তর বাইরাগুড়ি গ্রামে ময়লা ফেলার বিষয় গ্রামবাসীদের সঙ্গে আলোচনা করতে যান কিছু পুলিশ আধিকারিক। অভিযোগ, গ্রামবাসীরা বিনা প্ররোচনায় পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে এক পুলিশ কর্মীকে মারধর করেন। আলিপুরদুয়ার থানার আইসি দেবাশিস চক্রবর্তী সোমবার জানান, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর, পুলিশকর্মীকে মারধর, খুনের চেষ্টা, আগ্নেয়াস্ত্র কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা-সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ২০-২৫ জনের নাম পাওয়া গিয়েছে। বাকি গ্রামবাসীদের পরিচয় জানা গেলে তাদের নাম যুক্ত করা হবে।

Advertisement

সোমবার গ্রামে গিয়ে দেখা যায় বাসিন্দারা এক যায়গায় বসে বৈঠক করছেন। গ্রামের বাসিন্দা প্রবীণ দুলাল সরকার বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার পুলিশ গ্রামবাসীদের ধাক্কাধাক্কি করায় বাসিন্দারা উত্তেজিত ছিলেন। সেজন্য শনিবার পুলিশের উপর কিছু জনতা আক্রমণ করে। তবে তা উচিত হয়নি।’’ বাসিন্দারা অবশ্য দাবি তুলেছেন জায়গাটিতে পিকনিক স্পট করার। ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে পিকনিক স্পট হলে শীতের মরসুমে পর্যটকদের ভীড় বাড়বে বলে তাঁদের দাবি। এলাকার মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীদের নিয়ে পিকনিক স্পটটি করা যায় কি না তা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন আলিপুরদুয়ার ১ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মনোরঞ্জন দে। তিনি বলেন, ‘‘বাসিন্দারা একযোগে জানিয়েছেন গ্রামের মধ্যে ডাম্পিং গ্রাউন্ড করা যাবে না। আমি প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে ফের জায়গায়টি চিহ্নিত করার কথা বলব।’’

তবে এমতাবস্থায় আলিপুরদুয়ার শহরের জঞ্জাল জট আরও পাকালো বলেই মনে করছেন বাসিন্দারা। আলিপুরদুয়ার পুরসভার চেয়ারম্যান আশীষ দত্ত জানান, ‘‘জায়গাটি জেলা প্রশাসনের তরফে পুরসভাকে দেওয়া হয়েছিল ডাম্পিং গ্রাউন্ড করার জন্য। প্রশাসন বিকল্প জায়গা না দিলে শহরের জঞ্জাল নিয়ে পুজোর সময় সমস্যা বাড়বে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement