জগদীপ ধনখড়। ফাইল চিত্র।
দার্জিলিঙের রাজভবনে বৈঠকের জন্য রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারকে ডেকেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সোমবার। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, সৌজন্য সাক্ষাতে বিশ্ববিদ্যালের আচার্য হিসেবে রাজ্যপাল ডেকেছিলেন উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারকে। কিন্তু উপাচার্য অনিল ভুঁইমালি ও রেজিস্ট্রার দুর্লভ সরকার দার্জিলিঙে যাননি।
উপাচার্যের বক্তব্য, এক সপ্তাহ আগে রাজ্যপালের সচিব ই-মেলে তাঁকে ও রেজিস্ট্রারকে এ দিন দার্জিলিঙের রাজভবনে হাজির হতে বলেছিলেন। উপাচার্য বলেন, “রাজ্য সরকারের আইনে বলা হয়েছে, রাজ্য শিক্ষা দফতর থেকে নির্দেশ দেওয়া হলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা রাজ্যপালের সঙ্গে উপাচার্য, রেজিস্ট্রার বা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দেখা করতে পারবেন। শিক্ষা দফতরের তরফে সেই নির্দেশ না আসায় আমি ও রেজিস্ট্রার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে যাইনি।”
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, শুধু রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বা রেজিস্ট্রার নয়, এ দিন রাজ্যপাল দার্জিলিঙের রাজভবনে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়, উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয় ও গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারকেও ডেকেছিলেন। রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, “এ দিন উত্তরবঙ্গের কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক করতে যাননি বলে শুনেছি।”
বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক বাসুদেব সরকার বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চাপে চাকরি বাঁচাতেই উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে যাননি।”
জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র সন্দীপ বিশ্বাসের পাল্টা দাবি, উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার আইন মেনে কাজ করেছেন।