ফঁাকা: উত্তরকন্যার দফতর। নিজস্ব চিত্র
সম্প্রসারিত হবে উত্তরকন্যা। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মূল ভবনের পাশের মসজিদ সংলগ্ন জমিতে তৈরি করা হবে নতুন ভবন। ২০টি দফতরের সচিব, কর্মী, আধিকারিকরা বসতে পারবেন, এমন পরিকাঠামো তৈরি করা হবে নতুন ভবনে। প্রস্তাবিত ভবনের বিশদ প্রকল্প তৈরি হয়ে গিয়েছে, টেন্ডার করে শীঘ্র কাজ শুরু হবে বলে জানান হয়েছে প্রশাসনের তরফে।
এখন উত্তরকন্যায় ১৮টি দফতর রয়েছে। কিন্তু উদ্বোধনের পর থেকে ফাঁকাই পরে রয়েছে বেশির ভাগ দফতর। এলইডি বাতি, এসি মেশিন, পাথর বসানো মেঝে, ঝাঁ চকচকে দফতরগুলির কোনও কোনওটির ঘরে এখনও চেয়ার, টেবিল বসানো হয়নি। নেই কর্মী, আধিকারিকও। ফলে কাজের জন্য কলকাতাতেই ছুটতে হচ্ছে উত্তরবঙ্গের বাসিন্দাদের। যে পরিকাঠামো রয়েছে সেগুলি এখনও কাজে লাগানো সম্ভব হয়নি। এরপরে সম্প্রসারিত ভবনও ফাঁকা থাকবে কিনা সেই প্রশ্নও তুলেছেন বাসিন্দারা।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের প্রধান সচিব বরুণ রায় বলেন, ‘‘আগে সমস্ত দফতরের জন্য ঘর বরাদ্দ সম্ভব হয়নি, তাই সম্প্রসারিত ভবন তৈরি হচ্ছে। ধীরে ধীরে সব অফিস চালু হবে।’’
উত্তরকন্যায় কৃষি দফতরের ঘরে এখনও বসেনি চেয়ার, টেবিল। ভবনের দোতলায় যুব কল্যাণ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের ঘরের পাশেই রয়েছে অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ ও পাহাড় বিষয়ক দফতরের ঘর, সেখানে আধিকারিকরা শেষ কবে বসেছিলেন তা মনে করতে পারছেন না উত্তরকন্যার কর্মীরাও।
দোতলার এক কোণে পাশাপাশি থাকা শ্রম দফতর এবং আবাসন ও পূর্ত দফতরের ঘর বন্ধ হয়ে রয়েছে। একই অবস্থা নারী ও শিশুকল্যাণ, পরিবহণ ও বিদ্যালয় শিক্ষা দফতরেরও। উত্তরকন্যায় উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের ঘরে এখনও পর্যন্ত একটি সভাও হয়নি। এ দিকে মাদ্রাসা শিক্ষা ও সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতরের ঘরে ফ্যান চালিয়ে বিশ্রাম নিতে দেখা গিয়েছে কয়েকজন সাফাই কর্মীকে।
তবে কিছু দফতরে কাজও হচ্ছে। উত্তরকন্যায় উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরে কাজ হচ্ছে পুরোমাত্রায়। প্রতিদিন খুলছে পেনশন, প্রাণিসম্পদ, সমবায় সমূহের রেজিষ্ট্রারের অফিস। সাধারণ অভিযোগ গ্রহণের জন্য উত্তরকন্যাতে একটি বিশেষ বিভাগ খোলা হয়েছে। সেখানেও কর্মীরা উপস্থিত থাকছেন। তবে উত্তরকন্যায় ঘর না পাওয়ায় মৈনাক টুরিস্ট লজ থেকেই কাজ চালাচ্ছেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব।