(বাঁ দিকে) বিজেপি প্রার্থী পুতুল ঘোষ। তৃণমূল প্রার্থী পুতুল যাদব (ডান দিকে)। সম্পর্কে তাঁরা দুই জা। —নিজস্ব চিত্র।
সম্পর্কে তাঁরা দুই জা। তাঁদের নামেও মিল আছে। দু’জনের নামই পুতুল। তবে বড় বৌ বিয়ের পরেও বাপের বাড়ির যাদব পদবি ব্যবহার করেন। ছোট বৌ শ্বশুরবাড়ির পদবি নিয়ে ঘোষ হয়েছেন। দুই পুতুলের বড় অর্থাৎ, পুতুল যাদব এ বার তৃণমূলের প্রার্থী। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ছোট জা পুতুল ঘোষ এ বার বিজেপি প্রার্থী। দু’জনে লড়ছেন মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের ভালুকা পঞ্চায়েতের ফতেপুর থেকে। দুই পক্ষই পুরোদমে প্রচার করছেন। তৃণমূল প্রার্থী পুতুল বাড়ি বাড়ি ১০০ দিনের কাজে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ এবং মমতা সরকারের জনমুখী প্রকল্পের প্রচার করছেন। ঘোষ বাড়ির ছোট বৌ আবার সরব রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে। দুই জায়ের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সরগরম হরিশ্চন্দ্রপুর ব্লকের ভালুকা পঞ্চায়েতের ১২৮ নম্বর ফতেপুর বুথ। দুই জা জানাচ্ছেন বাড়িতে তাঁরা দুই বোনের মতো। কিন্তু ভোটের ময়দানে যুযুধান প্রতিপক্ষ। দু’জনেই বলছেন, জিতবেন তিনিই।
তৃণমূল প্রার্থী পুতুল রাজ্য সরকারের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরে ভোটারদের দরজায় দরজায় ভোটপ্রচার করছেন। আর ছোট জা পুতুল বিজেপি প্রার্থী হয়ে বড় জায়ের দলের বিভিন্ন ‘ব্যর্থতা’কে তুলে ধরছেন তাঁর প্রচারে। তৃণমূল প্রার্থী পুতুল বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার প্রতিটি এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। সেই উন্নয়ন দেখেই সাধারণ মানুষ আমাকে ভোট দেবেন। আমি ভোটে জেতার বিষয়ে ১০০ শতাংশ আত্মবিশ্বাসী।’’
এ সব শুনেই কটাক্ষ করছেন বিজেপি প্রার্থী পুতুল ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘গত পাঁচ বছরে এলাকায় তৃণমূলের নেতৃত্বে একের উপর এক দুর্নীতি হয়েই চলেছে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা থেকে শুরু করে বন্যাত্রাণ— কেলেঙ্কারি আর লাগাম ছাড়া দুর্নীতি দেখেছেন এলাকার বাসিন্দারা। আমাদের পঞ্চায়েত ছিল তৃণমূলের দখলে। কিন্তু মানুষ এ বার তৃণমূলকে উৎখাত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিজেপিকে দু’হাত তুলে আশীর্বাদ করছে তারা।’’