প্রতীকী ছবি
মঙ্গলবার সকালে কোচবিহারের গোলকগঞ্জে বরযাত্রী বোঝাই বাস দুর্ঘটনায় পড়ে মারা যান চারজন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আলিপুরদুয়ারের দলগাঁওয়ে যাত্রীবোঝাই বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু হল দু’জনের। জখম বেশ কয়েকজন বাসযাত্রী। বুধবার সকালে বীরপাড়ার কাছে দলগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ের কাছে একটি সেতুর সামনে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন সকাল ১০টা নাগাদ বীরপাড়ামুখী যাত্রীবোঝাই একটি বাস এবং ফালাকাটামুখী একটি পাথর বোঝাই ট্রাকের সরাসরি সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলেই মারা যান বাসের চালক প্রবীণ মিশ্র (৪২) এবং আর এক বাসচালক নন্দ রায় (৪৫)। নন্দ অন্য বাসের চালক। এ দিন পরিচিত প্রবীণের বাসে তাঁর পাশে বসে তিনি যাচ্ছিলেন। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসটির যাত্রী নিখিল বিশ্বশর্মা এ দিন জানান, তিনি সকালেই বিশেষ কাজে পারাডুবি থেকে এসে ওই বাসে বীরপাড়া যাচ্ছিলেন। দলগাঁও পঞ্চায়েত অফিসের পর একটি সেতুর কাছে সামনে থেকে আসা একটি ট্রাক মুখোমুখি ধাক্কা মারে তাঁদের বাসে। মুহূর্তেই দুমড়ে মুচড়ে যায় বাসের সামনের দিকটা। নিখিল পিছনের আসনে বসেছিলেন বলে বেঁচে যান তাঁর দাবি। তাঁর সামান্য আঘাত লাগে মাথায় ও কপালে। বাসচালক প্রবীণ চালকের আসনে বসেই মারা যান। এমন ভাবে তিনি বাসের ভাঙা অংশে আটকে যান যে, তাঁর দুটো পা কেটে বার করে আনা হয়। পরে তাঁকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মৃত বলে জানান। মৃত্যু হয় জটেশ্বরের বাসিন্দা পেশায় চালক নন্দ রায়। তাঁর মুখে মাথায় আঘাত লাগে। গুরুতর জখম অবস্থায় বীরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন আরও অনেক যাত্রী। বাসের কনডাক্টর সুভাষ সরকারকে গুরুতর আহত অবস্থায় শিলিগুড়ি মেডিক্যাল কলেজে রেফার করা হয়। বহু বাসযাত্রীকে গুরুতর অবস্থায় আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতাল-সহ বিভিন্ন নার্সিংহোমে পাঠানো হয়।
বীরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাসযাত্রী সুনন্দা ঘোষ আতঙ্কিত মুখে ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে বলেন, ‘‘বাসটি খুব ধীরেই যাচ্ছিল। কিন্তু রাস্তার পাশে চা বাগানের আবর্জনা পোড়ানোর কাজ করার জন্য রাস্তা ধোঁয়ায় ভরে ওঠে। ফলে কিছুই স্বাভাবিক ভাবে দেখা যাচ্ছিল না। তাই হঠাৎ সামনে থেকে আসা ট্রাকটির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়ে যায়। বাসটি যাত্রীবোঝাই থাকায় দুর্ঘটনার অভিঘাতে তিনি পায়ে আঘাত পেয়েছেন। তাঁকে বীরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।