প্রধান সড়কে দিনের ব্যস্ত সময়ে যানজট নিত্য দিনের সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মাঝেমধ্যে ছোটখাটো দুর্ঘটনাও হচ্ছে। তার পরেও রাস্তার পাশের জমি জবর দখল, যত্রতত্র যানবাহন দাঁড় করিয়ে রাখা হচ্ছে। এই সমস্যায় নাকাল হওয়া তুফানগঞ্জের বাসিন্দাদের রোজকার রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার পরেও তাঁদের অভিযোগ, অনেক সময় বাস দাঁড় করিয়ে রাস্তার মাঝে যাত্রীদের ওঠানো-নামানো হয়। যানজট ঘিরে বাসিন্দাদের ভোগান্তির কথা মানছেন পুরসভার কর্তারাও।
পুরসভা সূত্রের খবর, ফুটপাথ, নর্দমাগুলি জবর দখলমুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি লাগোয়া কালীবাড়ি এলাকায় বাসস্ট্যান্ড সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারেও চিন্তাভাবনা শুরু করা হয়েছে। তুফানগঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান অনন্ত বর্মা বলেন, “জবর দখল এলাকা ছাড়তে মাইকে প্রচার করে এক সপ্তাহের সময়সীমা দেওয়া হয়েছে। আগামী শনিবার ওই সময়সীমা শেষ হবে। কালীবাড়ি এলাকায় দু’টি বাসস্ট্যান্ড স্থানান্তর করা নিয়েও চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।”
৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক লাগোয়া থানা মোড় থেকে যাওয়া প্রধান সড়ক ঘিরেই তুফানগঞ্জ শহরের পরিধি বেড়েছে। ওই রাস্তার দু’পাশে ডাকঘর, থানা, কলেজ, একাধিক হাইস্কুল, প্রশাসনিক বিভিন্ন দফতর থেকে শুরু করে এনবিএসটিসি ও বেসরকারি বাসস্ট্যান্ড গড়ে উঠেছে। ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা জানান, শহরের জনসংখ্যার চাপ ও যানবাহনের সংখ্যা বাড়লেও রাস্তা সে ভাবে চওড়া হয়নি। ফলে যানজট সমস্যা বেড়েছে। কয়েক জন বাসিন্দা জানান, এক দশকেরও আগে কালীবাড়ি এলাকায় এনবিএসটিসির বাসস্ট্যান্ড তৈরি হয়। কিছু দিনের মধ্যে অবশ্য তা বন্ধ হয়ে যায়। পরে শহরের একটি এলাকায় বাসস্ট্যান্ড তৈরি করা হলেও তাতে পর্যাপ্ত জায়গা নেই। অনেক সময় নিগমের বাসও রাস্তার ওপর দাঁড় করিয়ে রাখা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
তুফানগঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান অনন্তবাবু বলেন, “কালীবাড়ি এলাকায় পঞ্চায়েত সমিতির জমিতে এক সময় বাসস্ট্যান্ড হয়েছিল। তাই এ বার বাসস্ট্যান্ড সরানোর ব্যাপারে পঞ্চায়েত সমিতির সঙ্গেও শীঘ্র আলোচনা হবে।” তুফানগঞ্জ ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জগদীশ বর্মা বলেন, “ওই জমির মালিকানা পঞ্চায়েত সমিতির বলে আমিও জানি। তবে কাগজপত্র দেখা হয়নি। আইনি সমস্যা না থাকলে সে সব দেখে ওই জমিতে ফের বাসস্ট্যান্ড করার ছাড়পত্র দিতে সমস্যা হবে না।”
পুরসভার ওই চিন্তাভাবনার ব্যাপারে তড়িঘড়ি মন্তব্য করতে চাননি এনবিএসটিসির কর্তারা। সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুবলচন্দ্র রায় বলেন, “লিজে নেওয়া জমিতে তুফানগঞ্জে সংস্থার বাসস্ট্যান্ড রয়েছে। পুরসভার তরফে বিকল্প প্রস্তাব পাইনি। প্রস্তাব এলে বিবেচনা করা হবে।” তুফানগঞ্জ মহকুমা বাস মালিক সমিতির সম্পাদক সন্তোষ সাহাও বলেন, “বাইরে রয়েছি। খোঁজ না নিয়ে মন্তব্য করব না।”