কার্শিয়ং স্টেশনে পুরনো টার্ন টেবিলটিকে নতুন করে চালু করার পর মহড়া দেওয়া হচ্ছে। ছবি ডিএইচআর সূত্রে। নিজস্ব চিত্র
প্রায় আট দশক পরে নতুন করে ঘুরতে শুরু করল ‘ঐতিহ্যের চাকা’। ইউনেস্কোর বিচারে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী টয় ট্রেনের ‘টার্ন টেবল’ সুবিধা ফের চালু করা হয়েছে বলে সোমবার জানালেন দার্জিলিং হিমালয়ান রেল (ডিএইচআর) কর্তৃপক্ষ। কার্শিয়াং স্টেশনে ওই সুবিধা ১৯৪৩ সালের পরে নানা কারণে অচল হয়ে গিয়েছিল। এই মডেলটি সফল হলে শিলিগুড়ি জংশনেও একই ব্যবস্থা নতুন করে চালু করতে চান ডিএইচআর কর্তৃপক্ষ।
১৯৯৯ সালে বিশ্ব ঐতিহ্যের খেতাব পায় দার্জিলিং হিমালয়ান রেল। যদিও তার অনেক আগেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল সেই ‘টার্ন টেবল’। নতুন অধিকর্তা যোগ দেওয়ার কিছু দিনের মধ্যেই তা ফের চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল বলে ডিএইচআর সূত্রে খবর। ডিএইচআর অধিকর্তা রিসভ চৌধুরী সোমবার বলেন, ‘‘কার্শিয়াংয়ে ৮১ বছর পরে ফের চালু হল ঐতিহ্যবাহী টার্ন টেবল। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে শিলিগুড়িতেও এ রকম একটি ব্যবস্থা নতুন করে বসাতে চাই আমরা।’’ যদিও, এই ব্যবস্থা কী রকম কাজ করছে, তা দেখেই সেই পদক্ষেপ করা হবে বলে ডিএইচআর সূত্রে খবর।
‘টার্ন টেবল’ কী?
আলাদা করে ফেলা যায় এরকম একটি অস্থায়ী ট্রেন লাইনের উপরে ইঞ্জিন বা কামরা তুলে সেই লাইন-সহ ইঞ্জিন বা কামরা একটি বৃত্তে ৩৬০ ডিগ্রি ঘোরানোর ব্যবস্থাই হল ‘টার্ন টেবল’। ব্রিটিশ আমলে বাষ্পচালিত ইঞ্জিন চালানোর ক্ষেত্রে তা ছিল অপরিহার্য। এটি ট্রেনের ইঞ্জিন দ্রুত ঘোরানোর সুবিধা দেয়। ফলে ইঞ্জিনের জটিল রিভার্সিং পদ্ধতি বা লুপ লাইনে নিয়ে গিয়ে ইঞ্জিন ঘুরিয়ে ফের অন্য দিকে মুখ করার জটিলতা থেকে মুক্তি মিলবে। বাঁচবে সময়ও।
ডিএইচআর সূত্রের দাবি, এই উদ্যোগ শুধুমাত্র রেল পরিষেবা উন্নত করার লক্ষ্যে নয় বরং আক্ষরিক অর্থে ঐতিহ্য সংরক্ষণের এক বৃহত্তর চেষ্টা। পর্যটক, রেলপ্রেমী এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিজ্ঞতা আরও আকর্ষণীয় করাই তার লক্ষ্য বলে জানান আধিকারিকেরা। ডিএইচআর সূত্রে ইঙ্গিত, নতুন করে এই ঐতিহ্য সংরক্ষণের বিষয়টি নয়াদিল্লির মাধ্যমে ইউনেস্কোর কাছেও জানানো হতে পারে।
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে